পুণে ওয়ারিয়র্স দলের ক্রিকেটারদের কার কত টাকা বাকি, এখন সেই হিসেব নিয়ে বসেছেন সহারা কর্তারা। যাতে বকেয়া নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ না থাকে।
পুণের মালিকানা ছেড়ে দিলেও সহারা কিন্তু এ বছর আইপিএল থেকে বোর্ডের আয়ের লভ্যাংশ পাবে পুরোটাই। যদিও দলের জঘন্য পারফরম্যান্সের জন্য আইপিএল সিক্সে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে সহারার, তবে তা সম্ভবত পুষিয়ে যাবে বোর্ডের লভ্যাংশের ভাগ থেকে। যার পরিমাণ ১১০ কোটি থেকে ১১৫ কোটি টাকা হতে পারে। সম্প্রচারসত্ব বাবদ ৫৫ থেকে ৬০ কোটি, টিকিটবিক্রি বাবদ ২২ কোটি ও টিম স্পনসরশিপ বাবদ ২৫ থেকে ৩০ কোটি এবং অন্যান্য খাতে আয়ের লভ্যাংশ বাবদ আরও ৮ থেকে ১৩ কোটি টাকা পাওয়ার কথা তাদের। আইপিএল থেকে সরে আসা ছাড়াও ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে বছরে ৪০০ কোটি টাকার লগ্নি বেঁচে যাবে সহারার। সেই কারণেই ক্রিকেটারদের বকেয়া মিটিয়ে দিতে তাদের কোনও সমস্যা হবে না বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।
পারিশ্রমিক নিয়ে যাবতীয় অনিশ্চয়তা কাটাতে বোর্ড, ফ্র্যাঞ্চাইজি ও ক্রিকেটারদের মধ্যে রয়েছে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি। এই চুক্তি অনুযায়ী, সারা বছরে চার বারে পুরো টাকা মেটানো হয়ে থাকে। মরসুম শুরুর আগে ১৫ শতাংশ, ১ মে-র আগে ৫০ শতাংশ, বাকি ৩৫-এর মধ্যে ২০ শতাংশ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি টোয়েন্টি শেষ হওয়ার পরই ও শেষ ১৫ শতাংশ ১ ডিসেম্বরের আগে।
তবে সহারার এ ভাবে সরে আসায় রীতিমতো অবাক দলের ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফরা। রবিন উথাপ্পা এবং অ্যালান ডোনাল্ড জানিয়ে দিচ্ছেন সে কথা। উথাপ্পা যেমন বলছিলেন, “আমি আইপ্যাডে নেট সার্ফ করছিলাম। তখনই খবরটা পাই। তবে অবাক হলেও আমি চিন্তিত নই। আমাদের চুক্তি এমনিতেই এ বছর শেষ হচ্ছে।” কোচ ডোনাল্ডের বক্তব্য হল, “সহারার এই সিদ্ধান্ত শুনে আমি ভীষণ অবাক হয়ে গিয়েছি। আমার সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের কথাও হয়েছিল পরের মরসুম নিয়ে। পরের মরসুমে দলে অনেক নতুন প্লেয়ার নেওয়ারও কথা হয়েছিল।” আপাতত যা পরিস্থিতি, তাতে ক্রিকেটারদের পাওনা মার যাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। কারণ, ফ্র্যাঞ্চাইজি না মেটালেও চুক্তি অনুযায়ী বোর্ড ক্রিকেটারদের পাওনা মিটিয়ে দেবে। তবে সহারার এক কর্তা জানিয়ে দিয়েছেন, ক্রিকেটারদের টাকা না দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। “গত বার তো যুবরাজ সিংহ একটা ম্যাচও না খেলা সত্ত্বেও আমরা ওর পুরো বকেয়া মিটিয়ে দিয়েছিলাম”, বলেছেন তিনি। |