মর্গ্যানের বিদায়ী ম্যাচই কি ঠিক করে দেবে তাঁর দলের দুই নাইজিরিয়ান ফুটবলারের ভবিষ্যৎ? মরসুমের শেষ ডার্বির আগে ময়দান যেন এক অন্য রসায়নেও মজে! নতুন মরসুমে পেন ওরজি ও উগা ওপারাকে কি রাখবে ইস্টবেঙ্গল?
টোলগে বাদে মোহনবাগানে বাকি তিন বিদেশি পাকা হয়ে গেলেও, ইস্টবেঙ্গল এখনও আলোচনাতেই বসেনি পেন-ওপারার সঙ্গে। তা হলে কি ডার্বির পারফরম্যান্সের দিকেই তাকিয়ে লাল-হলুদ কর্তারা? ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য বললেন, “পেন-ওপারা দু’জনেই থাকছে পরের বছর। ডার্বি ম্যাচের পরে ওরা ক্লান্ত থাকবে বলে আলোচনায় বসছি না। ওদের দেশে ফেরার আগে সব চূড়ান্ত করে ফেলব।” সন্তোষবাবু আশ্বাস দিলেও একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। চিডি ও সুয়েকার সঙ্গে চুক্তি পাকা হয়ে গেলেও পেন-ওপারা নিয়ে এত গড়িমসি কেন ইস্টবেঙ্গলের?
নতুন বছরের চুক্তিপত্র নিয়ে কর্তারা কথাবার্তা না চালালেও লাল-হলুদের দুই নাইজিরিয়ান বন্ধু চনমনে। উলটে ইস্টবেঙ্গলে মর্গ্যানের শেষ ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখতে পেনের পরিকল্পনা, “ড্র করলেই আমরা চ্যাম্পিয়ন হব। কিন্তু এই ডার্বিটা আমরা জিতে গোটা টিমকে উপহার দিতে চাই। পরের মরসুমে কে আছে, কে নেই, বলা কঠিন।” পেনের কথাতেই পরিষ্কার, চুক্তিপত্রে সন্তুষ্ট না হলে বাংলা ছাড়ার কথাও ভাবতে পারেন তিনি।
কিন্তু তাতে ক্ষতি হয়তো ইস্টবেঙ্গলেরই। পরিসংখ্যান বলছে, এ মরসুমে চিডির পরে লাল-হলুদের সবচেয়ে সফল ফুটবলার পেন। মাঝমাঠে বল নিয়ন্ত্রণ থেকে ‘ডাউন দ্য মিডল’ দৌড় পেন এক কথায় অনবদ্য। ৪১ ম্যাচে ১২টা গোলও করেছেন। যার মধ্যে আই লিগে চারটে এবং এএফসি কাপে চারটে। তবু ডার্বির পরীক্ষা দিতে ফের প্রস্তুত পেন, “চুক্তিপত্র নিয়ে ভাবছিই না। আমি পেশাদার ফুটবলার। এই মরসুমে আমার কাজ হল ইস্টবেঙ্গলকে ট্রফি দেওয়া। আগে সেটা করি, তার পরে নতুন মরসুম নিয়ে ভাবব।” গত তিন মরসুমে অনেক ডার্বির সাক্ষী পেন। তবু বৃহস্পতিবারের ডার্বিকে ‘স্পেশ্যাল’ চোখে দেখছেন তিনি। বললেন, “অনেক ডার্বি খেলেছি। তবে এই প্রথম বার কোনও ডার্বি ঠিক করে দেবে চ্যাম্পিয়নশিপ। মোটিভেশনটাই আলাদা। সবাই হয়তো বলবে আমাদের উপর চাপ কম। ড্র করলেই হবে। আমি বলছি আমাদেরই চাপ বেশি। এত লোকের মাঝে ড্র করে ট্রফি জিততে চাই না।” |