মেডিক্যালে বৈঠকে এসেও মন্ত্রী শুনলেন দলের ক্ষোভ
মেদিনীপুর মেডিক্যালে বৈঠকে যোগ দিতে এসেও মন্ত্রীকে পিছু করল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। দলীয় নেতা-কর্মীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। তাঁকে ঘিরে একগুচ্ছ নালিশ জানানো হয়। নালিশ করা হয় হাসপাতাল সুপারের নামেও। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। যদিও নেতৃত্ব মুখে বলছেন, বিক্ষোভের ব্যাপার নয়। মন্ত্রীর কাছে কিছু আবেদন জানানো হয়েছে মাত্র।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পরিচালন সমিতির ও রোগী কল্যাণ সমিতিরও বৈঠক হয়বৈঠক ছিল বুধবার। মন্ত্রী ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ শুদ্ধদন বটব্যাল, হাসপাতাল সুপার যুগল কর। মন্ত্রী যখন মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছালে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। বিক্ষুব্ধদের মধ্যে ছিলেন কাউন্সিলর বিশ্বনাথ পাণ্ডব, মহিলা তৃণমূলের শহর সভানেত্রী মৌ রায়। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বিকেল পাঁচটার পর সুপার হাসপাতালে না থাকায় একাংশ রোগী সমস্যায় পড়েন। রোগীদের দেওয়া খাবারের মানও যথাযথ নয়। ঠিকাদার সংস্থার মালিক চন্দন সেনগুপ্তের বিরুদ্ধেও নালিশ জানানো হয়। তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “মেদিনীপুর মেডিক্যালে ২৪ ঘন্টা যাবতীয় পরিষেবা পাওয়ার কথা। কিন্তু রাতে অধিকাংশ সময়ই ইউএসজি, ইসিজি, স্ক্যান হয় না। রোগী ও তাঁর পরিজনেরা সমস্যায় পড়েন।”
মন্ত্রীকে নালিশ জানাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা।—নিজস্ব চিত্র।
এই সব প্রসঙ্গ বৈঠকেও ওঠে। উপস্থিত চিকিৎসক-আধিকারিকদের কাছে মন্ত্রী জানতে চান, হাসপাতালে রোগীদের যে খাবার দেওয়া হয়, তার মান কেমন? একজন বলেন, ‘‘মোটের উপর ভালই।’’ মন্ত্রী পাল্টা প্রশ্ন করেন, “আপনি কখনও খেয়ে দেখেছেন?” পরিস্থিতি দেখে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ঠিক হয়, এই কমিটি তিন দিনের মধ্যে সব কিছু খতিয়ে দেখে মন্ত্রীকে রিপোর্ট দেবে। মন্ত্রী তা স্বাস্থ্য ভবনে পাঠিয়ে দেবেন।
কেন মন্ত্রীর কাছে এ ভাবে ক্ষোভপ্রকাশ? মহিলা তৃণমূলের শহর সভানেত্রীর কথায়, “আমরা ক্ষোভপ্রকাশ করিনি। সুপার বিকেল পাঁচটার পর হাসপাতালে থাকেন না। রোগীদের নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়। মন্ত্রীর কাছে এই বিষয়গুলোই জানিয়েছি। আবেদন করেছি, তিনি যাতে আমাদের বক্তব্য খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করেন।”
মেডিক্যাল কলেজের বৈঠক শেষে তৃণমূলের এক দলীয় কার্যালয়ে যান মন্ত্রী। সেখানেও দলের কর্মী-সমর্থকেরা একগুচ্ছ নালিশ জানান। পরে মন্ত্রী বলেন, “ওই ঠিকাদারকে নিয়ে কিছু অভিযোগ পেয়েছি। একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। কমিটির রিপোর্ট স্বাস্থ্য ভবনে পাঠিয়ে দেব।” অন্য দিকে, সুপারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সেই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “বিষয়টি দেখছি।” সৌমেনবাবু আরও জানিয়েছেন, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে মেডিক্যালে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স চালু হচ্ছে। ৯টি বিষয় পড়ানোর অনুমতি মিলেছে। এ নিয়ে কলেজের বৈঠকেও আলোচনা হয়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.