|
|
|
|
অসমে রাজ্যসভা ভোট |
কুজুরের মনোনয়নে ‘ক্ষোভ’ কংগ্রেসেই
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
রাজ্যসভার দ্বিতীয় আসনে শান্তিয়াস কুজুরের মনোনয়নে ক্ষোভ ছড়িয়েছে কংগ্রেসের অন্দরমহলেই। ‘বিক্ষুব্ধ’ বিধায়করা বলছেন, শুধু প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকেই তাঁরা ভোট দেবেন। কুজুরের সমর্থক চা-গোষ্ঠীর নেতারা বলছেন, এ ধরনের কথাবার্তা আপত্তিজনক।
মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ অবশ্য বলছেন, “দলে কোনও বিরোধ নেই।” দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খ্রিস্টান তথা সংখ্যালঘু এবং বিক্ষুব্ধ চা-গোষ্ঠীকে ‘তুষ্ট’ করতেই শান্তিয়াসকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু এতে দলের অনেক বিধায়ক অসন্তুষ্ট। গগৈ এবং বিরোধী শিবিরের প্রথম পছন্দের প্রার্থী তালিকায় তাঁর নামই ছিল না।
কুজুরের মনোনয়নপত্র দাখিলের পরপরই এ নিয়ে ক্ষোভ জানান বিধায়ক অঞ্জন দত্ত। তিনি বলেন, ‘‘দলের সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। আমার মতো আরও ২৪ জন বিধায়ক এটা মেনে নিতে পারছেন না। দলীয় শৃঙ্খলা ভাঙতে চাই না। মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাব, কেবলমাত্র প্রথম পছন্দের প্রার্থীকেই (মনমোহন সিংহ) ভোট দেওয়ার অনুমতি যেন আমাদের দেওয়া হয়।” অঞ্জনবাবুর বক্তব্য, “চা-গোষ্ঠীর পুরনো নেতাদের টিকিট না-দিয়ে দলে কয়েক বছর আগে যোগ দেওয়া কুজুরকে প্রার্থী করা উচিত হয়নি।”
এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “অঞ্জন-সহ অন্যদের অভিমান সাময়িক। অচিরেই ক্ষোভ কমে যাবে। দলে কোনও মতানৈক্য নেই। বিধায়করা দু’জনকেই ভোট দেবেন।”
চা-জনগোষ্ঠীর বিধায়কেরা অবশ্য কুজুরের সমর্থনে মাঠে নেমেছেন। রাজু সাহু, পল্লবলোচন দাসরা বলেন, “চা-জনগোষ্ঠীর লোকেরা এতদিন কংগ্রেসকে সাহায্য করছে। আমাদের কোনও যুব নেতাকে রাজ্যসভার মনোনয়ন দেওয়ায় আপত্তি উঠছে কেন?” কার্যত হুঁশিয়ারির সুরেই পল্লববাবু বলেন, “এই বিরোধের ফল কিন্তু সুদূরপ্রসারী হতে পারে।”
কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ ‘বিরোধের’ সুযোগ নিতে চাইছেন এআইইউডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমল। আজই নয়াদিল্লি গিয়েছেন তিনি। দলীয় সূত্রের খবর, রাজ্যসভায় তাঁর দলের প্রার্থী আমিনুল ইসলামকে সমর্থন করতে সনিয়া গাঁধী, আহমেদ পটেল, দিগ্বিজয় সিংহকে আর্জি জানাতে পারেন তিনি। বদরুদ্দিনের বক্তব্য, তাঁর দল বিভিন্ন সময় কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়েছে। সে কারণে এ বার অসমের কংগ্রেস নেতৃত্ব যেন তাঁদের প্রার্থীর পক্ষেই ভোট দেন। গত বার মনমোহনের বিরুদ্ধে প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রী মাতঙ্গ সিংহকে প্রার্থী করেছিল এআইইউডিএফ। শেষ মুহূর্তে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের অনুরোধে তাঁরা প্রার্থী প্রত্যাহার করে।
গত কাল মনোনয়নপত্র ও হলফনামা পরীক্ষা করা হয়। রাজ্যসভা ভোটে মনমোহনের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন তামিলনাড়ুর কে পদ্মরাজন। তা বাতিল করা হয়েছে। অর্থাৎ, প্রধানমন্ত্রীর জয় এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। |
|
|
|
|
|