হাজরায় বুদ্ধের সভার অনুমতি দিল পুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা |
পুলিশের অনুমতিতেই শনিবার হাজরা মোড়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সভা হবে। বুধবার লালবাজারে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার জাভেদ শামিমের সঙ্গে সিপিএমের কলকাতা জেলা নেতৃত্বের বৈঠকের পরে দলের নেতা মানব মুখোপাধ্যায় বলেন, “জটিলতা কেটেছে। বুদ্ধবাবুর সভার জন্য পুলিশ অনুমতি দিয়েছে। তবে কিছু শর্তও দিয়েছে পুলিশ। আমরা তা মেনে নিয়েছি।” মঙ্গলবার কলকাতা জেলা ফ্রন্টের তরফে বলা হয়, বুদ্ধবাবুর সভার জন্য পুলিশ অনুমতি না দিলেও সভা করা হবে। সে ক্ষেত্রে আইন ভাঙার জন্য সিপিএম নেতারা গ্রেফতার হতে প্রস্তুত। সারদা-কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত, এসএফআই নেতা সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর বিচারবিভাগীয় তদন্ত ইত্যাদি দাবিতে ডাকা এই সভার অনুমতি না দেওয়া নিয়ে মানববাবুর অভিযোগ ছিল, হাজরায় সভা করতে না দেওয়া রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আগে এ নিয়ে বিতর্ক করে সিপিএম রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পারে বুঝতে পেরেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব শেষ পর্যন্ত পুলিশি অনুমতির সবুজ-সঙ্কেত দেন। |
ঢাকুরিয়া ব্রিজ মেরামতির জন্য রেল-কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানাল কলকাতা পুরসভা। ওই সেতুর অবস্থা খতিয়ে দেখতে বুধবার ঘটনাস্থলে যায় নির্মাতা সংস্থা কলকাতা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (কেআইটি), পুরসভা, পুলিশ এবং রেলের পদস্থ ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল। পুরসভার মেয়র পারিষদ (রাস্তা) সুশান্ত ঘোষ বলেন, “সেতুর মাঝখানে যে অংশটি রেল তৈরি করেছিল, তার দু’পাশে অবিলম্বে মেরামত করা দরকার। রেলকে সব জানিয়েছি। দু’এক দিনের মধ্যে লিখিত আর্জিও জানাব।” |
ঢাকুরিয়া ব্রিজের হাল পরীক্ষা করে মেরামতির সুপারিশ বিশেষজ্ঞদের। |
৩ মার্চ উল্টোডাঙায় উড়ালপুলের একাংশ ভেঙে যাওয়ার পরেই সরকার জানিয়েছিল, শহরের বিপজ্জনক সেতুগুলির যৌথ সমীক্ষা হবে। ২০ মে এ বিষয়ে বিভিন্ন সংস্থার পদস্থ প্রতিনিধিরা পুরসভায় বৈঠকে বসেন। সুশান্তবাবু বলেন, “জিরাট, অরবিন্দ সেতু, চিৎপুর ব্রিজ এবং পার্কসার্কাসের চার নম্বর ব্রিজের পুরনো অংশের সমীক্ষা করার কথা আছে।” সেতুগুলির বয়স হলেও নিরন্তর রক্ষনাবেক্ষণ হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
|
স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের দফতরে মমতা |
কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে গিয়েছিলেন আগেই। এ বার তাদের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের দফতরেও আচমকা হাজির হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, বুধবার বাড়ি থেকে মহাকরণ যাওয়ার পথে বেলা সওয়া ১১টা নাগাদ লর্ড সিন্হা রোডে স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের দফতরে যান মুখ্যমন্ত্রী। অফিস ঘুরে দেখেন। কর্মীদের কাজকর্ম নিয়ে কথা বলেন। দফতর ফাঁকা কেন, প্রশ্ন করেন। কর্মীরা তাঁকে বলেন, কিছু কর্মী বাইরে ডিউটি করছেন। মমতা যখন ওই দফতরে যান, যুগ্ম কমিশনার (ইন্টেলিজেন্স) পার্থসারথি ঘোষ একটি বৈঠকে ছিলেন। তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে যান তিনি। মিনিট দশেক ওই দফতরে ছিলেন মমতা।
|
আগামী ২৬ জুন মাদক বিরোধী দিবসের আগে কলকাতা পুলিশের তরফে প্রতি বারের মতো এ বারও ১১ জুন থেকে সচেতনতা শিবির করে প্রচার চালানো হবে। সঙ্গে হাত মেলাবে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বুধবার লালবাজারে এ কথা জানান যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ। তিনি জানান, শহরের বিভিন্ন জায়গায় ৪৮টি কিয়স্কের পাশাপাশি থাকবে ৫টি মাদক বিরোধী শিবির। কিয়স্কগুলিতে স্কুলপড়ুয়াদের জন্য বসে আঁকো প্রতিযোগিতা হবে। শিবিরগুলিতে থাকবে মাদকাসক্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা।
|
এঁরা অনেকেই বাড়ি বাড়ি রান্নার কাজ করেন। পাশাপাশি রয়েছে সেলাই মেশিন। এঁদের হাতের কাজ পাড়ি দেয় বিদেশেও। দক্ষিণ কলকাতার বড়বাগান বস্তি এবং তার লাগোয়া এলাকার দরিদ্র সংখ্যালঘু শিশুদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল চালিয়ে আসছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। নিজের শিশুপুত্রকে অকালে হারিয়ে মা, শিক্ষিকা শ্রীমন্তী দাস শুরু করেছিলেন সেই স্কুল। বছর তিনেক আগে থেকে কাজ শুরু করেছেন এলাকার মেয়েদের নিয়েও। তাঁদের মধ্যেই ৪৮ জনকে বেছে নিয়ে বুধবার হয়ে গেল এই অভিনব ফ্যাশন শো। |