সদস্যদের একাংশের আপত্তি ছিল। তা সত্ত্বেও জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগে শেষ পর্যন্ত সাবেক পদ্ধতিই বহাল রাখল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। বুধবার সিন্ডিকেটের বৈঠকের পরে এ কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয়।
কর্মরত পিওন-সহ চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের লিখিত পরীক্ষা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট-পদে উন্নীত করার নিয়ম চালু আছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্টের ২২১টি শূন্য পদের জন্য ২০১১ সালে কর্মরতদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। মামলার জন্য তার ফল প্রকাশে দেরি হয়। গত মাসে রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, ওই শূন্য পদের ১০ শতাংশে কর্মরতদের উন্নীত করা যাবে। বাকি সব পদের জন্য সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে হবে।
এই সরকারি বিজ্ঞপ্তি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। গত মঙ্গলবার সিন্ডিকেটের বৈঠকে তৃণমূল-সমর্থক বলে পরিচিত এক সদস্য জানান, রাজ্য সরকারের জারি করা নতুন বিজ্ঞপ্তি মেনেই নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু তৃণমূলেরই শিক্ষাবন্ধু সমিতি সাবেক নিয়মে নিয়োগের দাবি তোলে। শুধু দাবি জানিয়েই ক্ষান্ত হয়নি তারা। ঘেরাও করে সিন্ডিকেটের সদস্যদেরও। তাদের বক্তব্য, যখন পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, নিয়োগ হতে হবে সেই সময়কার নিয়ম মেনেই।
মঙ্গলবার সিন্ডিকেট এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
বুধবার সিন্ডিকেটের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে ফের আলোচনা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, তার আগে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এই বিষয়ে আলোচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত সমাধানসূত্র বেরোয়। ঠিক হয়, এ বারের নিয়োগ হবে সাবেক নিয়মেই। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, কর্মরতদের মধ্যে যোগ্যতামানে উত্তীর্ণ ৭১ জনকে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে এ দিন। আবেদনকারীদের বাকি ৬৮ জন টাইপের পরীক্ষায় সফল হতে পারেননি। তাঁদের ফের সুযোগ দেওয়া হবে। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরও উন্নীত করা হবে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট-পদে। তার পরে যে-সব পদ শূন্য থাকবে, সেগুলির জন্য আবেদনপত্র চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার ঘেরাওয়ের মুখে পড়েছিলেন উপাচার্যও। এ দিন তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনেই যা করার করেছি। পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।” |