বিজ্ঞপ্তি জারি না-হলেও জুলাইয়ের গোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে। আর ওই সময়ে ভোট হলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ, বিএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে হবে। কারণ দেড় লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থীর উপরে ওই নির্বাচনের প্রভাব পড়বে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বুধবার জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, জুলাইয়ের গোড়াতেই ওই নির্বাচন হলে তার প্রভাব পড়বে মূলত বিএ, বিএসসি পার্ট টু জেনারেল, পার্ট ওয়ান অনার্স এবং জেনারেল পরীক্ষায়। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী পার্ট টু জেনারেল পরীক্ষা ১৮ জুন শুরু হয়ে ৪ জুলাই শেষ হওয়ার কথা। পার্ট ওয়ান অনার্স পরীক্ষা ৯ জুলাই এবং জেনারেল পরীক্ষা ১৬ জুলাই শুরু হবে বলে ঠিক আছে। এ দিকে আবার বহু টানাপোড়েনের পরে ২, ৬ এবং ৯ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের কথা ভাবা হয়েছে। ভোটগণনা ১৩ জুলাই। এগুলো সম্ভাব্য তারিখ। এই সব তারিখে নির্বাচন এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাজকর্ম হলে স্নাতক পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। ২ জুলাই নির্বাচন হতে পারে হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ মোট ন’টি জেলায়। ওই তিনটি জেলায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ ছড়িয়ে রয়েছে। অন্যান্য জেলা থেকেও বহু ছাত্রছাত্রী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসেন। তাই ৬ বা ৯ জুলাই নির্বাচনের দিনগুলিতেও পরীক্ষা হতে পারবে না।
শুধু ভোটগ্রহণের দিনে নয়, তার আগে থেকেই বিভিন্ন কাজে কলেজ ভবন ব্যবহার করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর থাকার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে ভোটগণনা কেন্দ্র সব কাজেই ব্যবহৃত হয় ওই সব বাড়ি। তাই নির্বাচনের দিনে তো বটেই, তার আগেরপ্রস্তুতি পর্ব থেকে শুরু করে ভোটগণনা পর্যন্ত স্নাতক পরীক্ষা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা ষোলো আনা।
সহ-উপাচার্য ধ্রুবজ্যোতিবাবু এ দিন বলেন, “নির্বাচনের জন্য কবে থেকে বিভিন্ন কলেজ ভবন অধিগ্রহণ করা হবে, সেটা জানার পরে পরীক্ষার নতুন সূচি তৈরি করতে হবে। তবে সে-ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের যথাসম্ভব কম অসুবিধা করে কত অল্প দিনের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া যায়, সেই চেষ্টাই চালানো হবে।” বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমান সূচি অনুযায়ী স্নাতক স্তরের পরীক্ষা নেওয়া গেলে জুলাইয়েই তা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু ভোটের জন্য যদি তা পিছিয়েই যায়, সে-ক্ষেত্রে পুরো পরীক্ষা প্রক্রিয়া শেষ করতে অগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ হয়ে যেতে পারে। |