পর্যটন মানচিত্রে জায়গা করে নিচ্ছে মানকুর |
দু’দশক পরে হাওড়া জেলার পর্যটন মানচিত্রে নতুন ভাবে সংযোজিত হতে চলেছে বাগনানের মানকুর। রূপনারায়ণের ধারে তাদের একটি জীর্ণ ডাকবাংলোকে ভেঙে ফেলে দোতলা ভবন তৈরিতে হাত দিয়েছে সেচ দফতর। সংলগ্ন এলাকার পার্কটিও সংস্কার করা হবে। শুরু হয়ে গিয়ে প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি আধিকারিকদের জন্য তৈরি হলেও ওই ভবনে পরে পর্যটকেরাও থাকতে পারবেন। রাজ্যের সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শীতের মরসুম বা সপ্তাহান্তের ছুটিতে হাওড়ার গাদিয়াড়া, গড়চুমুক, আটান্ন গেট বা ফুলেশ্বরে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। দু’দশক আগে মানকুর গ্রামের পাশে ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া সেখানকার ডাকবাংলোতেও তেমনই ভিড় জমত বলে এলাকার প্রবীণ বাসিন্দারা জানিয়েছেন। সংস্কারের অভাবে নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিক থেকে ডাকবাংলোটির ভগ্নদশা শুরু হয়। |
সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভেঙে ফেলা বাংলোটির জায়গায় প্রস্তাবিত দোতলা ভবনটি হবে পুরোপুরি কংক্রিটের। চারপাশ থাকবে খোলামেলা। ইতিমধ্যেই মাটি কাটার কাজ শুরু হয়েছে। রাজ্যে পালাবদলের পরে প্রাক্তন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া ওই বাংলোটি সংস্কারের জন্য ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন। প্রথম পর্যায়ে ১০ লক্ষ টাকায় তিন বিঘা জমিটি ঘিরে পাঁচিল দেওয়া হয়। সংস্কারের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা সেচ দফতরের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুমন্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা ওখানে একটা দোতলা বাংলো বাড়ি করব। থাকবে গাড়ি রাখার ব্যবস্থাও। সরকারি আধিকারিকেরা ছাড়াও এখানে ৮-১০ জন থাকতে পারবেন।” আমতার কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্র বলেন, “১৯৯৬ সালে আমি বিধায়ক হওয়ার পর থেকে মানকুর গ্রামকে হাওড়া জেলায় একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার বিষয়টি বারবারই বিধানসভায় উত্থাপন করে এসেছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। তবে এখন সংস্কার শুরু হওয়ায় ভাল লাগছে।”
তৈরির পরে বাংলোটি পুরোদমে চালু হয়ে গেলে শীতের মরসুমে ফের মানকুরে পর্যটকদের ভিড় বাড়বে বলে মনে করছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের মতে, নদীর ধারে মনোরম পরিবেশে গাদিয়াড়া, গড়চুমুক, আটান্ন গেট বা ফুলেশ্বরের পাশেই তখন স্থান হবে মানকুরের। |