নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নন। অথচ ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে রামপুরহাট ১ ব্লকের বিডিও-র স্ত্রীর। পাশাপাশি ভোটার তালিকায় বাড়ির নম্বর নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য এ ব্যাপারে কিছুই বলতে চাননি বিডিও আব্দুল মান্নান। তাঁর বক্তব্য, “এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে দেখছেন। আমি কিছু মন্তব্য করতে চাই না।” রামপুরহাট মহকুমাশাসক (যিনি পদাধিকার বলে এই মহকুমার নির্বাচনী নিটার্নিং অফিসার) রত্নেশ্বর রায় বলেন, “ভোটার তালিকায় নাম তুলতে গেলে অবশ্যই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। এ ক্ষেত্রে কী হয়েছে খোঁজ নিতে হবে।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ জানুয়ারি সংশোধিত ভোটার তালিকায় দেখা যায় রামপুরহাট বিধানসভার ৩৪ নম্বর অংশে (ভাগ নম্বর ২) রামরামপুর গ্রামের বাগানপাড়া ভোটার তালিকায় বিডিও মহম্মদ আব্দুল মান্নানের বাড়ির নম্বর ৩২৭ উল্লেখ আছে। তবে তাঁর স্ত্রী ববিতা ইয়াসমিনের বাড়ির নম্বর ৩২৮। দু’টি আলাদা নম্বর নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। কুমাড্ডা গ্রামের বাসিন্দা সাবের আলি প্রশাসনের কাছে বেআইনি ভাবে বিডিও-র স্ত্রীর নাম ভোটার তালিকায় তোলা হয়েছে বলে মঙ্গলবার অভিযোগ করেছেন।
এর আগে বিডিও-র বিরুদ্ধেই রামপুরহাট ১ ব্লক প্রশাসনিক ভবনের অতিথিশালায় থেকেও ভাড়া পঞ্চায়েত সমিতিকে না দিয়ে সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ওঠা এই অভিযোগের তদন্ত করার জন্য জেলাশাসসকে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিব দিলীপ পাল। কুশুম্বা পঞ্চায়েতের প্রধান নিতাই রজক বলেন, “বিডিও সাহেবের স্ত্রীকে এখানে মাঝে মধ্যে আসতে দেখি। আমার বাড়িতেও এসেছেন। কিন্তু তিনি এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা নন বলেই জানি।” বিডিও-র উত্তর, “যা হয়েছে নিয়ম মেনে হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলতে পারব না।” |