অবৈধ নির্মাণ বন্ধের জন্য পুরসভা থেকে প্রশাসন, পুলিশ কমিশনারের দফতর সকলের কাছেই অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত আদালতে মামলাও করেছেন। তার পরেও পাশের বাড়ির বাসিন্দা সন্তোষ প্রসাদ সীমানা পাঁচিল ঘেঁষে অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধ করেননি বলে অভিযোগ। নিরুপায় হয়ে ফের বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানান শিলিগুড়ি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মহারাজ কলোনির বাসিন্দা নারায়ণ মিশ্র। এর পরেই অভিযুক্ত সন্তোষবাবু তাঁকে এবং পরিবারের লোকদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ।
মঙ্গলবার শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে সংবাদিক বৈঠক করে ওই অভিযোগ তোলেন নারায়ণবাবু এবং তাঁর পরিবার। এমনকী নারায়ণবাবু এবং পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সন্তোষবাবুর মা সুশীলাদেবী পুলিশে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করে তাদের বিপাকে ফেলতে চাইছেন বলেও দাবি করেছেন নারায়ণবাবু। সম্প্রতি সমস্যা নিয়ে পুলিশে নালিশ জানাতে গেলে উল্টে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে জানিয়ে পুলিশ হেনস্থা করছে বলে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।
সন্তোষবাবু বলেন, “বহু দিন আগের বাড়ি। সামান্য কিছু মেরামতির কাজ করছিলাম। তাতে প্রতিবেশী নারায়ণবাবুর সমস্যা হলে তাঁকে বলেছিলাম আলোচনা করে মিটিয়ে নিতে। এমনকী পুর কর্তৃপক্ষ ডেকে পাঠালে মেয়রের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে সব বলেছি। মেরামতির কাজও এখন করা হচ্ছে না।” তা ছাড়া তিনি প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা ঠিক নয় বলে দাবি করেছেন সন্তোষবাবু। মা সুশীলাদেবী কী অভিযোগ করেছেন সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেন।
মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত জানিয়েছেন, সমস্যা খতিয়ে দেখতে পুরসভার তরফে আধিকারিকদের পাঠানো হয়েছিল। নারায়ণবাবুর অভিযোগ ছিল পাশের বাড়ির বাসিন্দা সন্তোষবাবু সীমানা পাঁচিল বিপজ্জনক ভাবে তৈরি করেছেন। মেয়র বলেন, “সমস্যা ফের খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।” শিলিগুড়ি থানার আইসি বিকাশকান্তি দে জানিয়েছেন, একবার অভিযোগ জানালে পুলিশের তরফে সমস্যা মেটাতে চেষ্টা করা হয়েছিল। ফের কোনও সমস্যা হলে পুলিশে আবার জানালে ভাল হয়। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই তাঁরা দেখবেন।
মহকুমা প্রশাসনের তরফে জানানো হয় তাদের কাছে অভিযোগ আসার পরেই পুলিশ এবং পুর কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। নারায়ণবাবু বলেন, “অবৈধ নির্মাণ বন্ধ করতে বলায় হুমকি দিচ্ছে সন্তোষবাবু। এমনকী তাঁর মা আমার, স্ত্রীর এবং ছেলেমেয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করে ফাঁসাতে চাইছে। পুলিশকে সমস্যা কথা জানালেও তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।” |