দার্জিলিঙের নানা এলাকা থেকে ধৃত সন্দেহভাজন আইএসআই চরদের একাংশের সঙ্গে জেলার একাধিক রাজনৈতিক দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী কেন যোগাযোগ রাখতেন তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। প্রাথমিক তদন্তের পরে তদন্তকারী অফিসারদের একাংশের অনুমান, ধৃত সেনাকর্মীরা এলাকায় প্রভাব বাড়ানোর জন্যই একাধিক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। কিন্তু, গোয়েন্দাদের অন্য পক্ষ কিন্তু দু’জন রাজনৈতিক নেতার ভূমিকা নিয়ে এখনও পুরোপুরি নিঃসন্দেহ হতে পারেননি। যে হেতু স্পষ্ট তথ্য-প্রমাণ এখনও মেলেনি সে জন্য তদন্তের স্বার্থে ওই নেতাদের নামও প্রকাশ্যে জানাতে রাজি নয় পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ। তবে রাজ্যের শাসক ও বিরোধী, সব দলের শীর্ষ নেতাদের একাংশের তরফেই পুলিশকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেউ দেশবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত বলে প্রমাণ হলে দল কখনও তাঁর কিংবা তাঁদের পাশে দাঁড়াবে না। দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে রাজি নন। তাঁর সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, “আর পাঁচটা তদন্তের মতো এটা নয়। তাই কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এখন সম্ভব নয়।”
পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রের খবর, রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিক্যাল উইং (‘র’)-এর গোয়েন্দারাও দার্জিলিঙে পৌঁছেছেন। নেপালেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, নকশালবাড়ির এক ব্যবসায়ী তথা একটি রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মীর কাঠমান্ডুর অফিসের কাজকর্ম নিয়েও তদন্ত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার জয়পুরে ধরা পড়ে আইএসআইয়ের সন্দেভাজন এজেন্ট বিকে সিংহ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, কার্শিয়াংয়ে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন আইএসআই এজেন্ট ও লিঙ্কম্যন রয়েছে। এর পরেই শনিবার সারা রাত অভিযান চালিয়ে সেনা বাহিনীর এক বহিস্কৃত সদস্য মগন বাহাদুর সিংহ, মোর্চা নেতা মেসা সাউরি, ধনবাহাদুর সিংহ এবং গোপাল খাতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সোমবার সেনা কর্মচারি মণিকুমার বিশ্বকর্মাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ আরও একজন সেনাকর্মীকে ওই ঘটনায় খুঁজছে। তার বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। এ দিন মণিকুমার বিশ্বকর্মাকে কার্শিয়াং আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক দশ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। |