জলপাইগুড়ির উন্নয়ন নিয়ে নাগরিক কনভেনশনের ডাক দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকও করেন মন্ত্রী। তার পরে ওই কনভেনশনের কথা বলেন। আগামী ৩১ মে জলপাইগুড়ি আর্ট গ্যালারিতে কনভেশনটি হবে। উল্লেখ্য, গত ৮ মে জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে ঘেরাও করা হয়। জলপাইগুড়ির প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে তাঁরা একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। মন্ত্রীর কুশপুতুলও পোড়ানো হয়। |
জলপাইগুড়িতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব।—নিজস্ব চিত্র। |
এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী গৌতমবাবু। জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি বলেন, “জলপাইগুড়িকে কোনওভাবেই বঞ্চিত করা হচ্ছে না। এই অপপ্রচার বন্ধের জন্যে নাগরিক কনভেনশন ডাকা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জলপাইগুড়ির উন্নয়নে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। নাগরিক কনভেনশনে উন্নয়নের সমস্ত তথ্য জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দাদের কাছে তুলে ধরা হবে।”
মন্ত্রী জানান, জলপাইগুড়ির শহরের স্পোর্টস কমপ্লেক্সের কাজ চলছে। করলা নদীর উন্নয়নের জন্য ৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। তিন নম্বর ঘুমটি থেকে গোশালা মোড় পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস আগামী ১ জুলাই চালু হবে, রাজবাড়ির দিঘি উন্নয়ন, রানিনগরের অব্যবহৃত জমির পুর্নব্যবহার করা হবে। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ির মধ্যে দুটি বিকল্প রাস্তা, বেরুবাড়িতে সবজি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প-সহ নানা প্রকল্পের কাজ চলছে। সার্কিট বেঞ্চের জন্য আরও টাকা বরাদ্দ করা হবে। মন্ত্রীর কথায়, “বামফ্রন্টের আমলের ৯৫টি প্রকল্পের মধ্যে মাত্র দু’টি প্রকল্পের কাজ এখন বাকি আছে। আরও ৭৫টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। খরচ হবে ২১০.৮৮ কোটি টাকা।”
এ দিন সার্কিট হাউসে মন্ত্রী জলপাইগুড়ি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, নর্থবেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স, জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোশিয়েশন, ফিস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনগুলির মত সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা বলেন। সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত দাবিপত্র মন্ত্রীকে দেওয়া হয়। মন্ত্রী প্রতিটি দাবি, প্রস্তাবও বিবেচনার আশ্বাস দেন। |