লাইনের যন্ত্র খোলা, ব্যাহত কয়লা পরিবহণ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানিগঞ্জ ও মেজিয়া |
রেললাইনের যন্ত্রাংশ খোলা থাকায় ব্যাহত হল মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে (এমটিপিএস) কয়লা পরিবহণ। যদিও সে জন্য উৎপাদনে কোনও প্রভাব পড়েনি বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রের তরফে মেজিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সংস্থা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এই কাজের পিছনে দুষ্কৃতীদের হাত থাকতে পারে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন। এমটিপিএসের চিফ ইঞ্জিনিয়ার দেবাশিস মিত্র জানান, লাইন পরীক্ষা করতে গিয়ে সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ মেজিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে রেললাইনে তিনটি ফিসপ্লেট ও আরও কিছু যন্ত্রপাতি খোলা রয়েছে বলে দেখতে পান কর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে একটি মালগাড়ি আসার কথা ছিল। সেটিকে না আসার সঙ্কেত দেওয়া হয়। দেবাশিসবাবু বলেন, “কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রেললাইন ঠিক করে মালগাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।” এমটিপিএস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে ছাঁটাই হওয়া কিছু কর্মীর চাপানউতোর চলছে। মাস কয়েক আগে ওই কর্মীরা আটটি কয়লা বোঝাই মালগাড়ি আটকে দিয়েছিল। আসানসোল পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে দুদিন সময় লাগে। বারবার এই লাইনে সমস্যা হচ্ছে বলে এমটিপিএস কর্তৃপক্ষের দাবি। এ দিনের ঘটনায় দুষ্কৃতীদের হাত থাকতে পারে বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন তাঁরা। পুলিশ জানায়, তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
প্রেমিকাকে খুন, গ্রেফতার
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোরো |
খুনের অভিযোগে বোরো থানার পুলিশ সোমবার এক যুবককে ধরেছে। ধৃত সমীর বাগীশের বাড়ি ওই থানার আগুইবিল গ্রামে। বৃহস্পতিবার পুলিশ আগুইবিল হাইস্কুলের পিছনে একটি শুকনো খাদ থেকে এক যুবতীর কঙ্কাল উদ্ধার করে। পাশে পড়ে থাকা মোবাইলের সূত্র ধরে পুলিশ জানতে পারে দেহটি শান্তি রুইদাসের (২৪)। তাঁর বাড়ি বান্দোয়ানের রুইদাসপাড়ায়। ধৃত সমীর বান্দোয়ানে দর্জির কাজ করেন। সেই সূত্রে শান্তির সঙ্গে আলাপ ও ঘনিষ্ঠতা। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, শান্তি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। সমীরকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। কিন্তু, বিবাহিত সমীরের ছেলেমেয়ে রয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে সমীর জানিয়েছে, ডাক্তার ডেকে গর্ভপাত করানোর নামে গত ৬ মে ওই স্কুলের পিছনে শান্তিকে সমীর ডেকে পাঠায়। ওখানেই ওড়নার ফাঁস দিয়ে শান্তিকে খুন করে মাটি চাপা দিয়ে দেয় ওই যুবক। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “ধৃত যুবক তার অপরাধ স্বীকার করেছে। কী ভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা-ও পুলিশকে দেখিয়েছে।”
|
ধৃত স্ত্রী, শাশুড়ি
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
স্ত্রীকে আনতে গিয়ে শ্বশুরবাড়িতে অপমৃত্যু হয়েছিল এক যুবকের। সেই ঘটনায় মৃত যুবকের শাশুড়ি ও স্ত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শ্বশুর পলাতক। গত ১৪ মে ঘটনাটি ঘটেছিল কোতুলপুরের ক্ষিরি গ্রামে। মৃতের নাম মানস পাল (২৫)। বাড়ি বিষ্ণুপুর থানার লয়ের গ্রামে। মানসের বাবা মথুর পালের অভিযোগ, “ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে খুন করেছে বেয়াই, বেয়ান আর বউমা।” পুলিশ জানায়, মথুরবাবুর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মানসের শাশুড়ি শোভা দিগর ও স্ত্রী পূজা পালকে রবিবার রাতে গ্রামের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। শ্বশুর প্রদীপ দিগর পলাতক। সোমবার ধৃত মা-মেয়েকে বিষ্ণুপুর আদালতে তোলা হলে দু’জনকেই ১৪ দিন জেল হাজত হয়।
|
শিক্ষিকাকে ধরার দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • বান্দোয়ান |
গঙ্গামান্না হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণির এক পড়ুয়ার মৃত্যুকে ঘিরে বান্দোয়ানে রাজনৈতিক তরজা থামার লক্ষ্মণ নেই। এ বার এসএফআই এবং ডিওয়াইএফের যৌথ উদ্যোগে সোমবার থানায় স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ডিওয়াইএফের বান্দোয়ান জোনাল কমিটির সম্পাদক কমলাকান্ত মণ্ডলের দাবি, “এক শিক্ষিকার মারে জখম পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। আমরা অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবি করছি।” এর আগে তৃণমূল ওই শিক্ষিকার সমর্থনে মিছিল করেছে। তদন্ত চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
|
পূণর্তদন্তের আশ্বাস
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোরো |
তিন দশক আগের এক খুনের ঘটনার যাতে পুনরায় তদন্ত হয়, সেই ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেন রাজ্যের স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্তি দফতরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। রাজ্য সরকারের দু’বছর পূর্তির অনুষ্ঠান উপলক্ষে শান্তিরামবাবু সোমবার পুরুলিয়ার কয়েকটি জায়গায় গিয়েছিলেন। এ দিন বোরো থানার বসন্তপুর গ্রামে ‘জাগরণ সরেন স্মৃতি রক্ষা কমিটি’র সভায় এসে তিনি বলেন, “১৯৮৪ সালের ২০ মে প্রাথমিক শিক্ষক জাগরণ সরেন দুষ্কৃতীদের হাতে নিহত হন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ জানিয়েছিলেন, ওই খুনের সঠিক তদন্ত হয়নি। পূণর্তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
|
তৃণমূলের নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • হিড়বাঁধ |
বছরে একশো দিন কাজের প্রকল্পের গতি বাড়ানো, প্রকৃত গরিবদের জমির পাট্টা দেওয়া-সহ ১৩ দফা দাবিতে সোমবার হিড়বাঁধ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মানসী মণ্ডল এবং হিড়বাঁধের বিডিও অনুপম চক্রবর্তীর কাছে স্মারকলিপি দিল তৃণমূল। দলের হিড়বাঁধ ব্লক সভাপতি ধীরেন মাঝি বলেন, “প্রকৃত গরিব মানুষেরা জমির পাট্টা পাচ্ছেন না। একশো দিনের কাজেও গতি নেই।” |