মহিলাদের তৎপরতায় ধরা পড়ল চার দুষ্কৃতী। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে বসিরহাটের হরিশপুরে। স্থানীয় বাসিন্দারা গণধোলাই দিয়ে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের নাম হারান গাইন, রাকেশ পাল, নজরুল গাজি, ও সমীর মজুমদার। ধৃতদের বাড়ি স্থানীয় চৌরাচর, হরিশপুর, মির্জাপুর ও দ্বীপমেদিয়া গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় ভবানীপুরের মণ্ডলপাড়ার বাসিন্দা পেশায় গৃহশিক্ষক চন্দন পাল রবিবার রাতে বাড়ি ছিলেন না। সেই সুযোগে রাত ৯টা নাগাদ বাড়িতে ভোজালি নিয়ে হামলা চালায় চারজন দুষ্কৃতী। বাড়িতে ছিলেন চন্দনবাবুর মা অনুরাধাদেবী ও স্ত্রী সোনালীদেবী। ভয় না পেয়ে তাঁরা চিৎকার করতে শুরু করেন। চিৎকার শুনে বেরিয়ে আসেন প্রতিবেশীরা। ঘাবড়ে গিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
পালানোর সময়ে একটু এগিয়ে রাস্তার পাশেই স্থানীয় হরিশপুর মোড়ে একটি দোকানে ঢুকে নগদ টাকা ছিনতাই করে তারা। সেইসময় বাসিন্দারা ধরে ফেলেন একজনকে। শুরু হয় গণধোলাই। পুলিশ এসে গ্রেফতার করে তাকে। পুলিশ চলে যাওয়ার পর ফের শুরু হয় বিক্ষোভ। টাকি রাস্তা অবরোধ করে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। বাকি দুষ্কৃতীদের ধরতে ঘিরে ফেলা হয় এলাকা। গ্রামবাসীদের তল্লাশিতে আশেপাশের মাঠ, অন্ধকার গলি থেকে ধরা পড়ে বাকি তিন দুষ্কৃতী। তাদেরকেও গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকায় চোলাই মদ ও নিষিদ্ধ মাদকের বিক্রি বেড়েছে। নেশার টাকা জোগাড় করার জন্যই চুরি ছিনতাই বেড়ে গিয়েছে। এলাকা থেকে চোলাই মদ ও নিষিদ্ধ মাদকের বিক্রি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। কমবয়সী ছেলেদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি মাত্রায় দেখা যাচ্ছে। ধৃতদের আত্মীয়রা অভিযোগ মেনে নিয়েছেন। এলাকা থেকে মাদক ও চোলাই বিক্রি বন্ধ করতে পুলিশি উদ্যোগের দাবি জানিয়েছেন।
|