ভগ্নপ্রায় দোতলা ফ্লাড সেন্টার। পাশেই রয়েছে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। যে কোনও সময় ফ্লাড সেন্টারটি ভেঙে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। এই সমস্যা মথুরাপুর ২ ব্লকের নগেন্দ্রপুর হেমন্তকুমারী হাইস্কুলে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফ্লাড সেন্টারটির পাশে ১৯৬৪ সালে তৈরি হয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। বর্তমানে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। নগেন্দ্রপুর এলাকাটি মনি নদী লাগোয়া। একসময় বর্ষায় নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হত এলাকা। ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামবাসীদের আশ্রয়ের জন্য বিদ্যালয় তৈরির কিছু বছর আগে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল সেন্টারটি।
|
নদীবাঁধ মেরামতি হওয়ায় পর বর্তমানে ওই এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা কম। যদি প্লাবিত হয় তাহলেও ওই ভেঙে যাওয়া বাড়িতে কারও পক্ষে আশ্রয় নেওয়া সম্ভব নয়। এখন ছাত্রছাত্রীরা টিফিনের সময়ে ওই ভাঙা দোতলা বাড়িতে গিয়ে খেলা করে। মাঝে মধ্যেই দোতলা বাড়িটির ছাদ ও দেওয়ালের চাঙড় ভেঙে আহত হচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা। যে কোনও সময় ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। বিষয়টি জানেন ব্লক ও জেলা প্রশাসনের কর্তারা। কিন্তু তার পরেও বিপজ্জনক দোতলা বাড়ি ভাঙার উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দ্বিজেন ভুঁইয়া বলেন, “সমস্ত বিষয়টি বিডিওকে একাধিকবার জানিয়েছি। স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেও বাড়িটি ভেঙে ফেলার জন্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে।”
বিদ্যালয়ের পার্শ্বশিক্ষক বিজয় জাটুয়া বলেন, “আমরা ছাত্রছাত্রীদের জানিয়েছি, ফ্লাড সেন্টারে যাওয়া নিষেধ। কিন্তু সব ছাত্রছাত্রীদের দিকে নজর রাখা যায় না। ওই বাড়িটির যা অবস্থা তাতে যেকোনও দিন ভেঙে পড়তে পারে।”
নগেন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের পঞ্চুরাম হালদার বলেন, “ফ্লাডসেন্টারটি এখনই ভেঙে ফেলা দরকার। বিডিওকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। কিছুদিন আগে বিডিও দফতর থেকে একটি দল এসে বিষয়টি দেখে গিয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও ব্যবস্থা হয়নি।” তাঁর সংযোজন, “যদি ব্লক প্রশাসন নির্দেশ দিলে আমরা ভেঙে ফেলার ব্যবস্থা করতে পারি।”
মথুরাপুর-২ -এর বিডিও নিরঞ্জন কর বলেন, “ফ্লাড সেন্টারটি ভেঙে ফেলা হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জেলা প্রশাসন।” জেলা প্রশাসনের কর্তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। |