|
|
|
|
ট্রাফিক-বৈঠকে ক্ষোভ জানালেন বাস মালিকরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
একে রাস্তা বেহাল, তার উপর বেআইনি দখলদারদের দাপটে চলাফেরাই দায়। ট্রাফিক পুলিশের অবস্থাও তথৈবচ, সব মিলিয়ে দুর্ঘটনা বাড়ছে। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক ডেকেছিল প্রশাসন। বৈঠকে নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দেন বাস মালিকেরা। প্রশাসন এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্তা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতি বলেন, “রাস্তা বেআইনি দখলমুক্ত করা ও সংস্কারের জন্য বৈঠকে দাবি জানিয়েছি।” জেলা পরিবহণ আধিকারিক প্রিয়াঞ্জন দাস বলেন, “পথে নিরাপত্তা বজায় রেখে দুর্ঘটনা কমাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” প্রতি বছর সাড়ম্বরে পথচারী থেকে গাড়ির চালক সকলকে সচেতন করতে পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করা হয়। দুর্ঘটনা এড়াতে হেলমেট পরে মোটর বাইক চালানো, বাঁক নেওয়ার সময় গাড়ির গতিবেগ কমানো ইত্যাদি বিষয়ে প্রচার হয়। গ্রামীণ এলাকায় ট্রাফিক নিয়ে সেভাবে সমস্যা না থাকলেও শহরে ট্রাফিক সমস্যা প্রকট। মেদিনীপুর শহরে এখনও সর্বত্র অটো রিকসার স্ট্যান্ড না থাকায় যত্রতত্র অটো দাঁড়িয়ে পড়ে। রাস্তার দুপাশ হকারদের দখলে চলে যাওয়ায় নাজেহাল পথযাত্রীরা। রাস্তার ধারে নেই পার্কিংয়ের সুবিধাও। ফলে রাস্তার ধারেই সাইকেল, মোটর সাইকেল রেখে ক্রেতারা জিনিসপত্র কেনাকাটা করেন। রাস্তা ক্রমশ সঙ্কীর্ণ হয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনাও বাড়ছে।
দুর্ঘটনা এড়াতে রাস্তাকে বেআইনি দখলমুক্ত করার দাবি জানান বাস মালিকরা। জেলা বাস ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক শিবু সরখেল বলেন, “রাস্তার হাল খারাপ হওয়ায় বাস মালিকরা আর বাস চালাতে চাইছেন না।” শুধু মেদিনীপুর শহর নয়, ঝাকরা, বেলদা, কেমাশুলি, সবং-সহ একাধিক জায়গায় রাস্তার অবস্থা খারাপ। কোথাও কোথাও রাস্তার হাল কিছুটা ভাল হলেও কয়েক হাত ছাড়াই ‘হাম্প’ থাকায় যান চলাচলে সমস্যা বাড়ছে। ট্রাফিক সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হোর্ডিং লাগানোর কথাও ওঠে বৈঠকে। |
|
|
|
|
|