নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দিনভর নাটকের পরিসমাপ্তি ভরসন্ধ্যায়। চৌম্বকে নিটফল—বৃহস্পতিবারের ডার্বিতেই ঠিক হবে কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হবে কারা।
কী সেই নাটক? সোমবার সকালেও জানা ছিল, মঙ্গলবার কল্যাণীতে হবে প্রয়াগ ইউনাইটেড-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ। কিন্তু গোটা দিন আইএফএকে অপেক্ষা করিয়ে সন্ধ্যা নাগাদ ইউনাইটেড কর্তারা জানিয়ে দেন, র্যান্টি, বেলোদের না পাওয়া এবং কার্ডজনিত সমস্যায় তারা দল নামাচ্ছেন না। নজিরবিহীন এই সিদ্ধান্তের ফলে ২৩ মে যুবভারতীতে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচেই ফয়সালা হচ্ছে ঘরোয়া লিগের। যা শুনে ইস্টবেঙ্গল কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যান বলছেন, “তিন দিনে দুটো ম্যাচ খেলতে হত। ভালই হল! বড় ম্যাচের আগে ছেলেরা প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পাওয়ায় তরতাজা শরীরেই ঝাঁপাবে জয়ের জন্য।” আর ইউনাইটেড কর্তা নবাব ভট্টাচার্য বলছেন, “আগামী বছর অনূর্ধ্ব-১৯ এবং দলের রিজার্ভ ফুটবলারদের নিয়ে কলকাতা লিগে নামব আমরা। তখন কোনও অসুবিধা তখন হবে না।” |
এখানেও নাটকের শেষ নয়। পরিস্থিতির জেরে এ দিন প্রয়াগ ইউনাইটেডের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়। পদত্যাগের পর আইএফএ সচিব বলেন, “ভিত্তিহীন, অপমানজনক মন্তব্যের পর আর ওই পদে থাকার যুক্তি নেই।” আইএফএ সচিবকে উদ্দেশ্য করে ওই মন্তব্যের জন্য এ দিনই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সামনে ডাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে ইউনাইটেডের দুই কর্তা অলোকেশ কুণ্ডু এবং নবাবকে।
নাটকের সূত্রপাত রবিবার প্রয়াগ ইউনাইটেড-মোহনবাগান ম্যাচের পরে। তখনই প্রয়াগ কর্তারা ঠিক করে ফেলেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে দল নামাবেন না। কিন্তু পরে বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দেন তাঁরা। এ দিকে, মঙ্গলবার সকালেই দেশে ফিরছেন র্যান্টি। পাওয়া যাবে না বেলোকেও। কার্ড সমস্যায় নেই দীপক-লালকমলরাও। সব মিলিয়ে ১২-১৩ জন ফুটবলার না থাকায় সন্ধ্যাবেলা আইএফএকে চিঠি দিয়ে তাঁরা জানিয়ে দেন দল নামাচ্ছেন না। এই সিদ্ধান্তে সাময়িক বিপাকে পড়লেও পরে আইএফএ চিঠি দিয়ে দু’দলকেই জানিয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গলকে তিন পয়েন্ট দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে সাত ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট দাঁড়াচ্ছে ২১। বৃহস্পতিবার মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ড্র করলেই কলকাতা লিগ যাবে লাল-হলুদ তাঁবুতে।
ইস্টবেঙ্গল কোচ মর্গ্যানও এ দিন সকালে অনুশীলনের পর লিগ পরিচালনা নিয়ে আইএফএ কে বিঁধতে ছাড়েননি। বলেন, “একটা ম্যাচে একজন (র্যান্টি) হলুদ কার্ড দেখায় সেটা গণ্য হল কিন্তু ম্যাচটা ভেস্তে গিয়ে রিপ্লে হল! হয়তো সংগঠকরা চান মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচেই লিগের ফয়সালা হোক।” কোচের থেকে আরও একধাপ এগিয়ে মেহতাব বলছেন, “এতে ঘরোয়া ফুটবলের জৌলুস কমছে।” যদিও উৎপলবাবু তা মানতে নারাজ। সব মিলিয়ে ডার্বির ঘণ্টা বাজতে না বাজতেই সরগরম ময়দান। |