|
|
|
|
এক হাজারে হাটে বিক্রি কচ্ছপ-মাংস
গৌর আচার্য • রায়গঞ্জ |
বন দফতরের তরফে কচ্ছপ ধরা বা কচ্ছপের মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও কেজি প্রতি কচ্ছপের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে হাজার টাকায়। উত্তর দিনাজপুরে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ধনকল হাটে গেলে এই দৃশ্যই চোখে পড়বে। তবে সহজেই কচ্ছপের মাংস মিলবে না। হাটে গিয়ে দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের হাতে টাকা গুঁজে দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট ক্রেতা পুলিশ, বন দফতর বা পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সদস্য নন দালালেরা বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই সেই ক্রেতার হাতে কচ্ছপের মাংস তুলে দেবে।
সপ্তাহে প্রতি সোমবার এ ভাবে জেলার অন্যতম প্রাচীন ধনকল হাটে কচ্ছপের মাংস বিক্রি হচ্ছে। সবজি, মাছ, মাংসের দোকান সহ ওই হাটে নানা সামগ্রীর প্রায় আটশোটি দোকান রয়েছে।
পশুপ্রেমী সংগঠন পিপল ফর অ্যানিম্যালের অভিযোগ, গত ৩ বছর ধরে একাধিক বার বন দফতরের কর্তাদের কাছে কচ্ছপের মাংস বিক্রির ব্যাপারে অভিযোগ জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সংগঠন জেলা সম্পাদক গৌতম তান্তিয়া বলেন, “বন দফতরের প্রতি আমাদের আস্থা নেই। কিছুদিনের মধ্যে পুলিশকে জানিয়ে হাটে কচ্ছপের মাংস বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান চালাব। আইনশৃঙ্খলা অবনতি হলে তার দায় বন দফতরকেই নিতে হবে।”
বিভাগীয় বনাধিকারিক দ্বীপর্ণ দত্ত বলেন, “নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। কচ্ছপের মাংস বিক্রি রুখত খুব শীঘ্রই পুলিশকে নিয়ে অভিযান করব।” কী ভাবে কচ্ছপের মাংস বিক্রি হচ্ছে? সাত থেকে দশ জন ৫-৭টি বস্তায় কচ্ছপ নিয়ে হাটে ঢুকছে! দুই থেকে তিন জন বস্তাগুলি নিয়ে হাটের একপ্রান্তের নির্জন এলাকায় দাঁড়িয়ে। বাকিরা দালাল হিসেবে হাটে ছড়িয়ে পড়ছে। ক্রেতা পেলে দালালরা তাঁকে এক জায়গায় দাঁড় করিয়ে অন্য প্রান্তে বস্তা নিয়ে অপেক্ষারত কারবারিদের হাতে টাকা তুলে দেয়। এরপর ওই ব্যক্তিরা বস্তা থেকে চাহিদা অনুযায়ী কচ্ছপ বার করে সেগুলি দাঁড়িপাল্লায় মেপে চাকু দিয়ে কেটে মাংস বার করে কালো প্লাস্টিকে ভরে দালালদের হাতে তুলে দেয়। দালাল সেই প্যাকেট ক্রেতার হাতে তুলে দেয়।
হাটের এক মালিক শিবশঙ্কর রায়চৌধুরী বলেন, “দুষ্কৃতীরা লুকিয়ে হাটে কচ্ছপের মাংস বিক্রি করে। তাঁদের মাংস কারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই! বন দফতর, পুলিশ অভিযান করলে আমরা সমস্ত রকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। |
|
|
|
|
|