সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জনসভা থেকেই হাওড়ায় পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার শুরু করল তৃণমূল। সোমবার বসন্তপুরের সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, সৌগত রায়, সুলতান আহমেদ প্রমুখ। সেখানেই উদয়নারায়ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পঞ্চায়েতের ২২৫টি আসন, পঞ্চায়েত সমিতির ৪৮টি আসন এবং ৪টি জেলা পরিষদ আসনের প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেন দলের বিধায়ক সমীর পাঁজা। চার জেলা পরিষদ প্রার্থীকে মঞ্চে হাজির করে পরিচয়ও করিয়ে দেওয়া হয়। সৌগতবাবু বলেন, “বিধানসভা ভোটের মাধ্যমে রাজ্যে যে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলকে জয়ী করে সেই বৃত্ত সম্পূর্ণ করতে হবে।” |
শুভেন্দু ও সৌগত। —নিজস্ব চিত্র |
শুভেন্দুবাবুর কথায়, “পঞ্চায়েতে তৃণমূল ক্ষমতায় এলে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হবে।”
দলের নেতা-কর্মীদের একাংশের প্রতি সৌগতবাবু এ দিন ‘সতর্কবার্তা’ দিয়ে বলেন, “নন্দীগ্রামের মতো আন্দোলনের শহিদদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমাদের সরকার ক্ষমতায় এসেছে। তৃণমূলের পতাকা নিয়ে এমন কাজ করা যাবে না, যাতে সেই সব শহিদদের অপমান করা হয়। তৃণমূল কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। টাকা কামানোর মঞ্চ নয়।”
বাম জমানার ‘ব্যর্থতা’ এবং সেই সূত্রেই তৃণমূলের আমলে রাজ্যের উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, “কয়লাকে ধুলে যেমন ময়লা যায় না, সিপিএমেরও পরিবর্তন সম্ভব নয়।” এই প্রসঙ্গেই দিল্লিতে রাজ্যের মন্ত্রীদের হেনস্থার কথা উল্লেখ করে নবীন প্রজন্মের কয়েক জন বাম নেতার সমালোচনা করেন শুভেন্দু। |