|
|
|
|
টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্রও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
সারদার আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে চিন্তা করছে কেন্দ্রীয় সরকারও। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কতটা কী করা যায়, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক সেটা খতিয়ে দেখছে।
কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী সচিন পায়লট ঘোষণা করেছেন, সরকারের প্রধান লক্ষ্য হল, আমানতকারীদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার বন্দোবস্ত করা। পায়লটের কথায়, “আমানতকারীদের বড় অংশই খুব সাধারণ আয়সম্পন্ন মানুষ। অতি কষ্টে অর্জিত অর্থ এই সব সংস্থায় গচ্ছিত রেখেছিলেন তাঁরা। তাই আমাদের হাতে এখন যে সব আইন রয়েছে, যে প্রশাসনিক বন্দোবস্ত রয়েছে, আইনি বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন, তার সাহায্য নিয়েই আমানতকারীদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।” ওই সব সংস্থার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিলাম থেকে প্রাপ্ত অর্থ আমানতকারীদের হাতে তুলে দেওয়া যায় কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও পায়লটের দাবি। |
এক মঞ্চে সচিন পায়লট, চিদম্বরম। সোমবার। ছবি: পিটিআই। |
মন্ত্রী জানান, অর্থলগ্নি সংস্থাগুলি নিয়ম না মেনে বাজার থেকে টাকা তুলেছে। ভবিষ্যতে তাদের যাতে আইন মেনেই আমানত সংগ্রহ করতে বাধ্য করা যায়, তার জন্য নিয়মনীতি কঠোর করা হচ্ছে। পরিমার্জিত কোম্পানি বিলে এই বন্দোবস্ত রয়েছে। বিলটি ইতিমধ্যেই লোকসভায় পাশ হয়েছে। সংসদের বাদল অধিবেশনে রাজ্যসভাতেএ বিলটি পেশ করা হবে।
পায়লটের বক্তব্য, এই বিলে লগ্নি সংস্থাগুলির প্রতারণা রুখতে আরও স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করা হয়েছে। এ জন্য সেবি-র ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ১৯৭৮ সালের প্রাইজ চিট অ্যান্ড মানি সার্কুলেশন (ব্যানিং) আইনটিকেও মজবুত করার প্রস্তাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনস্থ এসএফআইও ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে সন্দেহের তালিকায় থাকা ৭৩টি সংস্থার কাজকর্মের তদন্তে নেমেছে।
পায়লট মানছেন, বর্তমান আইন এবং বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির ক্ষমতার মধ্যে যথেষ্ট ফাঁকফোকর রয়েছে। কী ভাবে সেই ফাঁকফোকর বন্ধ করা যায়, তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|