উত্তরপ্রদেশ
মোদীকে ঠেকাতে সংগঠনে স্থানীয়দেরই গুরুত্ব রাহুলের
লোকসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে গত কালই উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব কার্যত নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের সংগঠন রাতারাতি বদলে দিলেন রাহুল গাঁধী। জিতিন প্রসাদ, আর পি এন সিংহ, প্রদীপ জৈনের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের আঞ্চলিক সচিবের পদ থেকে সরিয়ে স্থানীয় নেতাদের আনা হল ওই দায়িত্বে। জেলা স্তরেও বড় পরিবর্তন ঘটিয়ে ৩১ জন জেলা সভাপতিকে আজ নিয়োগ করেন রাহুল।
লোকসভা ভোটের আগে সাংগঠনিক দায়িত্ব বণ্টন করতে গিয়ে বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহ গত কালই উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীর অন্যতম ঘনিষ্ঠ ও আস্থাভাজন অমিত শাহ-র হাতে। বিজেপি নেতৃত্ব স্বীকার করেছেন, এর ফলে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি-র প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে কৌশল নির্ধারণ সবটাই মোদীর নিয়ন্ত্রণে রইল। সে দিক থেকে আজ কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। মোদীকে ঠেকাতেই মন্ত্রীদের সরিয়ে স্থানীয়দের গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাহুল ঘনিষ্ঠ কংগ্রেসের এক নেতার অবশ্য বক্তব্য, উত্তরপ্রদেশে লোকসভার ৮০টি আসন রয়েছে। ফলে সকলেরই নজর সে দিকে থাকাটা স্বাভাবিক। উত্তরপ্রদেশে যথেষ্ট ভাবনাচিন্তা করেই সংগঠনে রদবদল করা হয়েছে। ওই নেতার কথায়, “পূর্বতন আঞ্চলিক সচিবদের অনেকের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ ছিল। আবার যে সব মন্ত্রী-সাংসদ আঞ্চলিক সচিবের পদে ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে এ বার লোকসভা ভোটে লড়তে হবে। তাই তাঁরা যাতে নিজের নিজের কেন্দ্রে আরও বেশি সময় দিতে পারেন, তাই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাঁদের। আর যাঁদের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা কেউই লোকসভা ভোটে লড়বেন না।” মোদীকে কংগ্রেস আলাদা গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেই দাবি তাঁর।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে গত লোকসভা ভোটে ২১টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। এ বার সেই আসন ধরে রাখা কংগ্রেসের পক্ষে রীতিমতো কঠিন বলেই মনে করছেন অনেকে। এবিপি-এসি নিয়েলসেন সমীক্ষাও জানিয়েছে, এখনই ভোট হলে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের আসন এক ধাক্কায় ৬টি-তে নেমে আসবে। কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, এই সব কারণেই উত্তরপ্রদেশে এ বার আরও বেশি নজর দিতে চাইছেন রাহুল। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে আরও আগ্রাসী প্রচারে নামবেন প্রিয়াঙ্কা গাঁধী বঢ়রাও।
বিজেপি-র সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে কংগ্রেস অন্য একটি কারণে চিন্তিত। কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছেন, অমিত শাহ বা বরুণ গাঁধীর মতো নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে ধর্মীয় মেরুকরণের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে বিজেপি। কংগ্রেসের মুখপাত্র রাজ বব্বর আজ বলেন, “এ দেশের মানুষ বরাবর ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে ভোট দিয়েছেন। এ বারও তার অন্যথা হবে না।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.