|
|
|
|
জামশেদপুর |
মহাজনের ‘অপমানে’ দুই সন্তানকে
খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা মহিলার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
অনটনের জেরে চড়া সুদে টাকা ধার নিয়েছিলেন এক দম্পতি। সময়মতো তা ফেরত না -দিতে পারায় ক্রমাগত তাগাদা দিচ্ছিল মহাজন। মানসিক চাপে ছিলেন স্বামী, স্ত্রীদু’জনেই।
আজ সকালে তাঁদের বাড়ির কাছেই রাস্তা থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই দম্পতির দুই সন্তানের দেহ। তাদের পাশে রক্তাক্ত হয়ে পড়েছিলেন ওই মহিলাও। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, বাচ্চাদের খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সাম্মা পরভীন। অভিযোগ উঠেছে, মহাজনের ‘অপমান’ সহ্য করতে না -পেরেই ওই কাজ করেছেন তিনি। |
|
জামশেদপুরের সাকচিতে দুই সন্তানকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এই মহিলাই। গ্রেফতার হওয়ার পরে থানায়। ছবি: পার্থ চক্রবর্তী |
জামশেদপুরের সাকচি থানা এলাকার লুকা রোডে ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত দুটি শিশু তাজ হোসেন (৫) এবং মমতাজ হোসেনের (২) দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। সাম্মাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। তাঁর সারা শরীরে রয়েছে ব্লেডের আঘাত।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সাম্মার স্বামী মহম্মদ রাকির জামশেদপুরের ‘টিসকো’ সংস্থায় ঠিকাশ্রমিকের কাজ করেন। তিনি জানান, মাসআটেক আগে মঞ্জুর নামে স্থানীয় এক মহাজনের কাছ থেকে তিনি পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। সামান্য রোজগার থেকে মাসে -মাসে সুদের টাকাও ফেরত দিচ্ছিলেন। কিন্তু আসল শোধ করতে পারছিলেন না।
রাকিরের অভিযোগ, টাকা ফেরত পেতে তাঁদের উপর চাপ দিচ্ছিল মঞ্জুর। অপমানজনক কথাবার্তাও বলত। এ নিয়ে স্ত্রী’র সাম্মার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই মনোমালিন্য হচ্ছিল রাকিরের। পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে কারখানা থেকে বাড়ি ফেরার পরও রাকিরের সঙ্গে সাম্মার ঝগড়া হয়। ছেলে -মেয়েকে নিয়ে সম্মা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান। রাতে বাড়িও ফেরেননি।
লুকা রোডের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আজ ভোরে লুকা রোডের কাছেই একটি জায়গায় সাম্মা ও তাঁর দুই সন্তানকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর যায় স্থানীয় থানায়। পুলিশ জানিয়েছে, এ খবর ছড়াতেই গা -ঢাকা দিয়েছে ওই মহাজন।
তদন্তকারীদের দাবি, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাম্মা বয়ান দিয়েছেন, দুই সন্তানকে তিনি প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে পরে তাদের উপর এলোপাথারি ব্লেড দিয়ে আঘাতও করেন। পরে তা চালান নিজের উপরেও। |
|
|
|
|
|