|
|
|
|
পর্যটন মানচিত্রে ঠাঁই পদ্মা-চরের
সুজাউদ্দিন • ডোমকল |
সবুজে ঢাকা পদ্মার দু’পাড়। পাড়ে বসলেই দেখা মিলবে বাহারি সব পরিযায়ী পাখির। পদ্মার জল ছুঁয়ে ডানা ঝাপটে উড়ে যায় মাছরাঙা, গাঙচিল আর শামুখখোলের দল। স্থানীয় বাসিন্দারা পড়ন্ত বিকেলে নদীর ধারে বসে উপভোগও করেন সেই অপার সৌন্দর্য। পদ্মা পেরোলে বাংলাদেশের রাজশাহী জেলা। এ পার থেকে খালি চোখেই দেখা মেলে রাজশাহীর উঁচু উঁচু মিনারের।
আর এই সৌন্দর্য সকলের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে রাজ্য পযর্টন দফতর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে বরাদ্দও হয়ে গিয়েছে ৩৫ লক্ষ টাকা।
সীমান্তের কোলঘেঁষা রানিনগরের চর মাঝদেয়াড় এলাকায় প্রাথমিক পর্যায়ে তৈরি হবে ঝা চকচকে রাস্তা ঘাট, পার্ক। বন্দোবস্ত করা হবে আলোরও। জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) সন্দীপ দত্ত বলেন, “ওই এলাকায় প্রাকৃতিক শোভা দেখার মত। পর্যটকদের কাছে এই শোভা তুলে ধরার জন্য রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে। এ ছাড়াও পিপিপি মডেলে বিভিন্ন রকম বিনোদনের ব্যবস্থা, ট্যুরিস্ট লজ ও শৌচাগার নির্মাণ করা হবে।”
|
|
এই চরেই গড়ে উঠবে পর্যটনকেন্দ্র। —নিজস্ব চিত্র। |
চরের বাসিন্দাদের বঞ্চনার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এলাকায় নেই এর তালিকাও লম্বা। জল, বিদ্যুৎ ও রাস্তাঘাট-সবই অমিল। বিএসএফের ভারী বুটের আওয়াজ ও চোখ রাঙানিতে ত্রস্ত সীমান্তের মানুষ লালবাতির গাড়ি, আমলাদের ঘন ঘন যাতায়াতে আশার আলো দেখছেন।
সুদিনের আশায় তাঁরাও ভাবছেন, এ বার হয়ত উন্নয়নের মুখ দেখবে চর। স্থানীয় বাসিন্দা দীনেশ মণ্ডল বলেন, “এই প্রথম দেখছি প্রশাসন আমাদের এলাকার দিকে নজর দিচ্ছে। এখানে পর্যটনক্ষেত্র তৈরি করা হলে জীবনযাত্রার মানও বদলে যাবে। তৈরি হবে কর্মসংস্থানের সুযোগ।”
স্থানীয় মানুষের মতই খুশিতে ডগমগ রামিনগরের বিধায়ক ফিরোজা বেগমও। তিনি বলেন, “পিছিয়ে পড়া এই এলাকায় পর্যটন কেন্দ্র হলে মানুষের সামগ্রীক উন্নতি হবে।”
পদ্মার জলজ্যান্ত মাছ পড়বে পর্যটকদের পাতে। পাওয়া যাবে চরের বাথান বাড়ির দুধেল গরুর নির্ভেজাল দুধ। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে ভাব জমালেই দূরবিনে চোখ রেখে এক ঝলক দেখে নিতে পারেন রাজশাহি শহরটাকে। ডোমকলের মহাকুমা শাসক প্রশান্ত অধিকারী বলেন, “বর্ষায় এই এলাকা আরও সেজে ওঠে। বাড়ে পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা। ইচ্ছে করলে পর্যটকরা নৌকা বিহারেও বেরোতেও পারেন।” এখন অপেক্ষা সত্যিই চরের ভাগ্য পাল্টায় কিনা তা দেখার। |
|
|
|
|
|