মহিলাকে খুন করে টাকা লুঠপাট, গ্রেফতার চার জন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল |
এক মহিলাকে খুন করে ও তার টাকা হাতিয়ে চম্পট দেওয়ার অভিযোগে চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম রবীন্দ্র সিংহ, মুন্না রায়, শ্রীসন্থ নায়ক ও রঞ্জিত পারকি। রবীন্দ্রের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের কানপুর, মুন্নার বাড়ি বিহারের আড়া, রঞ্জিতের বাড়ি নাগপুর ও শ্রীসন্থের বাড়ি ওড়িশায়। এরা সকলেই কর্মসূত্রে নাগপুরে থাকত। রবিবার রাতে আসানসোলের সেনর্যালে রোডের একটি হোটেল থেকে তাদের ধরা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা ও নিহত মহিলার মোবাইল ফোন-সহ পাঁচটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নাগপুরের বাসিন্দা ত্রিবেদী শিন্ডে (৩৫) নামে এক মহিলাকে ওড়িশার রঘুনাথপুর জঙ্গলে হাত, পা ও গলা কেটে খুন করে আসানসোলে পালিয়ে এসে একটি হোটেলে গা ঢাকা দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। ওড়িশা পুলিশ দেহটি উদ্ধার করার পরেই দুষ্কৃতীদের তল্লাশি শুরু করে। প্রতিবেশী অন্যান্য রাজ্যের পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করে তারা। রবিবার রাতে আসানসোলের একটি হোটেলের সামনে ভিন রাজ্যের নম্বর লেখা একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকেত দেখে সন্দেহ হয় আসানসোল দক্ষিণ পুলিশ ফাঁড়ির কর্মীদের। গাড়ির মালিকের খোঁজ শুরু হতেই বেরিয়ে পড়ে আসল ঘটনা। ধৃতদের তখনি থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদের কাছ থেকে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা এবং খুন হওয়া মহিলার মোবাইলটি উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরেই যোগাযোগ করা হয় ওড়িশা পুলিশের সঙ্গে। সোমবার ধৃতদের চার দিনের ‘ট্রানজিট রিমান্ডে’ নিয়ে যায় ওড়িশা পুলিশ।
পুলিশের দাবি, মূল অভিযুক্ত রবীন্দ্র সিংহ জানায়, ত্রিবেদীদেবীর সঙ্গে গত দু’বছর ধরে তার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা ছিল না ত্রিবেদীদেবীর। মাস খানেক আগে নিজের কিছু জমি বিক্রি করে লাখ তিনেক টাকা পেয়েছিলেন তিনি। তা জানতে পেরেই রবীন্দ্র তাঁকে প্রস্তাব দেয়, টাকা নিয়ে যাতে ওড়িশায় গিয়ে তার সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করেন ত্রিবেদীদেবী। তাতে রাজি হয়েই অভিযুক্তদের সঙ্গে ওই মহিলা নাগপুর থেকে ওড়িশার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় রবীন্দ্র সিংহ স্বীকার করেছে, টাকার লোভেই ত্রিবেদী দেবীকে খুন করেছে তারা। |