বিনিয়োগের সঙ্গেই করতে হবে নিয়োগ: পার্থ
শিল্প সংস্থাগুলির শুধু বিনিয়োগ করলেই চলবে না, স্থানীয়দের নিয়োগও করতে হবে বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সোমবার দুর্গাপুরের গাঁধী মোড়ে আইটি পার্কে এসার অয়েলের ‘সিবিএম অ্যান্ড আনকনভেনশনাল রিসোর্স সেন্টার’-এর উদ্বোধন করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, “স্থানীয়দের প্রশিক্ষণ দিয়ে উপযোগী করে কাজ দিলে সংস্থা ও এলাকার মানুষদু’পক্ষেরই লাভ। অকারণে কোনও সংস্থার কাজ বন্ধ করলে তা যেমন রোখা হবে, তেমনই সংস্থাকেও বাসিন্দাদের সঙ্গত দাবি মেটানোর চেষ্টা করতে হবে।”
রবিবারই ফের বর্ধমানের কাঁকসায় এসার অয়েলের ‘কোল বেড মিথেন’ (সিবিএম) প্রকল্পে বাধা দেন এলাকার কিছু লোকজন। স্থানীয়দের নিয়োগ-সহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আগেও বারবার কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে। দলীয় পতাকা না থাকলেও এলাকার তৃণমূল নেতারা বরাবর এই সব বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়ে এসেছেন। পার্থবাবু এ দিন বলেন, “মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করুন। দেখবেন ব্যবসা করতে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। সরকার লগ্নির পথ মসৃণ করছে। এলাকার মানুষ তা আরও সুগম করার ক্ষমতা রাখেন।”
দুর্গাপুরে এসার অয়েলের অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী। —নিজস্ব চিত্র
রাজ্য সরকারের ‘শিল্পবান্ধব’ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে গত কয়েক মাস ধরেই শিল্প সংস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করার আর্জি জানিয়ে আসছেন শিল্পমন্ত্রী পার্থবাবু। মাস দেড়েক আগে দুর্গাপুরেই আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সম্মেলনে এসে তিনি জানিয়ে দেন, তৃণমূলের পতাকা হাতে কারখানায় গোলমাল পাকানো বরদাস্ত করা হবে না। কিন্তু তৃণমূল স্তরের নেতাদের যে স্থানীয় মানুষের ভাবাবেগ মেনে চলার রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা আছে এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যে সেটা আরও বেশি, দলের শীর্ষ নেতারা তা সম্ভবত তা উড়িয়ে দিতে পারছেন না।
শিল্পসংস্থায় এলাকার মানুষকে সামিল করার আর্জি জানিয়ে পার্থবাবুর যুক্তি, “বাইরে থেকে কর্মী আনার চেয়ে এতে কম খরচ হবে। স্থানীয়দের উপস্থিতির হারও ভাল হবে। সংস্থার প্রতি এলাকার মানুষের ইতিবাচক মনোভাবও গড়ে উঠবে।” তাঁর দাবি, “এসার প্রকল্প নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। ছোটখাট অশান্তি বাড়িতেও থাকে।” এসারের প্রজেক্ট ডিরেক্টর অপূর্ব রঞ্জনও বলেন, “এই প্রকল্পে ইতিমধ্যে পনেরোশো কোটি টাকা লগ্নি হয়েছে। সম পরিমাণ অর্থ লগ্নির আরও পরিকল্পনা রয়েছে।” শিল্পসচিব সুশান্ত মজুমদার জানান, এসারের যে কেন্দ্রের উদ্বোধন হল সেখানে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সিবিএম এবং অপ্রচলিত শক্তি সংক্রান্ত দেশের যাবতীয় তথ্য সংগৃহীত হবে। পেশাদারিত্বের অভাবেই তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের প্রসার হয়নি দাবি করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, “আইটি খাতে গত আর্থিক বছরে রফতানির পরিমাণ ৯ হাজার কোটি টাকা। রাজ্যে এখন ছ’শো আইটি সংস্থা কাজ করছে। কাজ করছেন প্রায় এক লক্ষ ৩০ হাজার মানুষ। আরও অনেক সংস্থা আসছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.