চার মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে কাশীপুর ব্লকের সেকেন্ড এএমএনরা (অক্সিলিয়ারি মিডওয়াইফারি নার্স)। শুক্রবার তাঁরা কাশীপুর ব্লক অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। জাতীয় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশনের আওতায় কাজ করা ৩১ জন সেকেন্ড এএমএনের দাবি, ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না। বিডিও-র কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে বকেয়া বেতন মেটানো-সহ নিয়মিত বেতন দেওয়ার দাবি জানান ওই স্বাস্থ্যকর্মীরা।
কাশীপুরের বিডিও তপন ঘোষাল বলেন, “বিষয়টি নিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলব।” চেষ্টা করেও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। কাশীপুর ব্লকের ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন কর্মসূচি রূপায়ণে বড় ভূমিকা নেন এই মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা। শিশু ও প্রসূতিদের টিকাকরণ, পোলিও কর্মসূচি থেকে শুরু করে আশা কর্মীদের পরিচালনা-সহ বিভিন্ন কাজ তাঁদের দিয়ে করানো হয়।
ব্লকের ওই স্বাস্থ্যকর্মীদের ক্ষোভ, স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করলেও বেতন মেলে অনিয়মিত ভাবে। স্বাস্থ্যকর্মী রিঙ্কু কর্মকার, পুষ্প সাহু, বর্ণালি মুখোপাধ্যায়, রূপা দত্তরা জানান, মাসের বেতন মাসের শেষে মেলে না। এখন তিন মাস পেরিয়ে গেলেও বেতন মিলছে না। প্রসঙ্গত, মাসে প্রায় দশ হাজার টাকা বেতন পান ওই মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের আরও দাবি, তাঁরা খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, জেলার অন্য ব্লকগুলিতে সেকেন্ড এএনএমদের এই সমস্যা ততটা প্রকট নয়। শুধু কাশীপুরের ক্ষেত্রেই প্রায় চার মাস বেতন বকেয়া। আগে ব্লক স্বাস্থ্য দফতরে এ ব্যাপারে জানিয়েও ফল হয়নি বলে অভিযোগ ওই স্বাস্থ্যকর্মীদের। |