টুকরো খবর
‘গাফিলতিতে’ মৃত্যু, ভাঙচুর হাসপাতালে
চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগ তুলে সোমবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভাঙচুর চালাল রোগীর পরিজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৬ মে কোমরে ও বুকে যন্ত্রণা নিয়ে সোলেমান মণ্ডল (৩৭) মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি জলঙ্গি থানার এনায়েতপুরের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রী আশা বিবির অভিযোগ, “বিনা চিকিৎসায় আমার স্বামীকে ফেলে রাখা হয় হাসপাতালে। কলকাতায় বদলি করে দেওয়ার কথা বলা হলেও আমাদের কথা শোনেনি।” বিষয়টি জানিয়ে ওই পরিবারের তরফে বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর পরেই পুলিশ দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠায়। ওই ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য দফতরও তিন জনের কমিটি তৈরি করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ভাঙচুরের ঘটনায় অবশ্য মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। আইসি মোহায়মেনুল হক বলেন, “ওই ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।” মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার মণিময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “তিন জনের কমিটি তৈরি করে ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”

টিউমার, দাড়ি শিশুর গালে
অ্যাড্রোজেনিক হরমোন ক্ষরণে দেড় বছরের শিশুর শরীরে অস্বাভাবিকত্ব দেখা দিয়েছে। রাবিত খেরোয়াগ নামে ওই শিশুকে শুক্রবার আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বয়সের তুলনায় শুধু ওজন বেশি নয় শিশুর গালে দাড়ি দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কল্যাণ ভট্টাচার্য বলেন, “ওজন বৃদ্ধির সমস্যা নিয়ে শুক্রবার রাবিতকে দেখাতে আনেন মা। আমরা ওকে ভর্তি করাতে বলি। প্রাথমিক পরীক্ষার পরে জানা গিয়েছে শিশুটির অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিতে টিউমার আছে। বয়ঃসন্ধিকালে অ্যাড্রোজেনিক নামে যে হরমোনের নিঃসরণ ঘটে সেটা ওর শরীরে হচ্ছে। ওই কারণে ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের মত দাড়ি দেখা দিয়েছে।” কালচিনির জয়গাঁর বাসিন্দা সুশীলা খেরোয়াগের দুই ছেলের মধ্যে রাবিত ছোট। তিনি বলেন, “যতক্ষণ জেগে থাকে ছেলে খেতে চায়। ভাত, মুড়ি যা পাই দেই। পাঁচ মাস হল এমনটা চলছে। খিদে বাড়ার সঙ্গে ওজনও বাড়ছে। তাই ভয় পেয়ে হাসপাতালে যাই।” রাবিতের বাবা কারিয়া পেশায় রাজমিস্ত্রি। ভিন রাজ্যে থাকেন। মহকুমা হাসপাতালের সুপার সুজয় বিষ্ণু বলেন, “শিশুটির সমস্ত পরীক্ষা করে চিকিৎসা চলছে।” প্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষার পরে শল্য চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।

সাফল্য নয়া অস্ত্রোপচারে
গোটা শরীরটাই অসাড়। হাঁটাচলা দূরের কথা, নড়তেও পারতেন না। বুকে সংক্রমণ, ইউরো সেপসিস, বেড সোর ছিল নিত্যসঙ্গী। অস্ত্রোপচারে তাঁকে নতুন জীবন দিলেন কলকাতার চিকিৎসকেরা। বাইপাসে এক বেসরকারি হাসপাতালে ৬৩ বছরের ওই প্রৌঢ়ের ‘ইন্ট্রাথেকাল ব্যাকলোফেন ডিভাইস সিস্টেম ইমপ্ল্যান্টেশন’ অর্থাৎ আইটিবি থেরাপি করেন চিকিৎসক অনির্বাণদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই প্রৌঢ় এখন নড়াচড়ার সঙ্গে উঠে বসতেও পারছেন। সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলনে হাসপাতালের তরফে বিষয়টি তুলে ধরা হয়। ওই চিকিৎসকের দাবি, আইটিবি থেরাপি পঙ্গুত্বের চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকরী। তিনি জানান, মেরুদণ্ডের চারপাশে জলীয় অংশে যন্ত্র বসিয়ে সর্বাধিক ডোজে ব্যাকলোফেন নামে ওষুধ দেওয়া হয়। এর পরে মেরুদণ্ডের মূল অস্ত্রোপচার। দু’সপ্তাহেই রোগীর শরীর উল্লেখযোগ্য সাড়া দেয়। এই প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়ে শহরের অন্য স্নায়ু চিকিৎসকদের বক্তব্য, পূর্বাঞ্চলে এই প্রক্রিয়া খুব পরিচিত নয়। স্ট্রোক, মস্তিষ্কে বা মেরুদণ্ডে আঘাত, সেরিব্রাল পল্সিতে তা খুবই কাজ দিতে পারে।

পিজিতে মৃত্যু, বিক্ষোভ

এক রোগিণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে মৃতার আত্মীয়স্বজন বিক্ষোভ দেখান। হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এক চিকিৎসক এবং এক কর্মীকে মারধরও করা হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শেষ পর্যন্ত কোনও পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম হেনা দেব (৬৫)। তিনি কসবার বোসপুকুরের বাসিন্দা। হেনাদেবীর প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হওয়ায় রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ পরিবারের লোকেরা তাঁকে পিজি-তে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ট্রলিতে কার্ডিওলজি বিভাগে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। তার পরেই বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁর সঙ্গীরা। তখনই কর্তব্যরত চিকিৎসক অসীম সাহা এবং আবিদ হোসেন নামে হাসপাতালের এক কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

জল শোধনে
জল শোধনের নতুন যন্ত্র ‘অ্যাকোয়াগার্ড-জিনিয়াস’ আনল ইউরেকা ফোর্বস। এতে পছন্দমতো জলের স্বাদ বেছে নেওয়া যাবে। এবং সেটা পাওয়ার জন্য পানীয় জলে কোন কোন খনিজ রাখতে চান, সেই সিদ্ধান্তও নেওয়া যাবে। সংস্থার দাবি, ভারতে এ ধরনের জল শোধন ব্যবস্থা তারাই প্রথম আনল।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.