অ্যাড্রোজেনিক হরমোন ক্ষরণে দেড় বছরের শিশুর শরীরে অস্বাভাবিকত্ব দেখা দিয়েছে। রাবিত খেরোয়াগ নামে ওই শিশুকে শুক্রবার আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বয়সের তুলনায় শুধু ওজন বেশি নয় শিশুর গালে দাড়ি দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কল্যাণ ভট্টাচার্য বলেন, “ওজন বৃদ্ধির সমস্যা নিয়ে শুক্রবার রাবিতকে দেখাতে আনেন মা। আমরা ওকে ভর্তি করাতে বলি। প্রাথমিক পরীক্ষার পরে জানা গিয়েছে শিশুটির অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিতে টিউমার আছে। বয়ঃসন্ধিকালে অ্যাড্রোজেনিক নামে যে হরমোনের নিঃসরণ ঘটে সেটা ওর শরীরে হচ্ছে। ওই কারণে ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্কদের মত দাড়ি দেখা দিয়েছে।” কালচিনির জয়গাঁর বাসিন্দা সুশীলা খেরোয়াগের দুই ছেলের মধ্যে রাবিত ছোট। তিনি বলেন, “যতক্ষণ জেগে থাকে ছেলে খেতে চায়। ভাত, মুড়ি যা পাই দেই। পাঁচ মাস হল এমনটা চলছে। খিদে বাড়ার সঙ্গে ওজনও বাড়ছে। তাই ভয় পেয়ে হাসপাতালে যাই।” রাবিতের বাবা কারিয়া পেশায় রাজমিস্ত্রি। ভিন রাজ্যে থাকেন। মহকুমা হাসপাতালের সুপার সুজয় বিষ্ণু বলেন, “শিশুটির সমস্ত পরীক্ষা করে চিকিৎসা চলছে।” প্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষার পরে শল্য চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।
|
গোটা শরীরটাই অসাড়। হাঁটাচলা দূরের কথা, নড়তেও পারতেন না। বুকে সংক্রমণ, ইউরো সেপসিস, বেড সোর ছিল নিত্যসঙ্গী। অস্ত্রোপচারে তাঁকে নতুন জীবন দিলেন কলকাতার চিকিৎসকেরা। বাইপাসে এক বেসরকারি হাসপাতালে ৬৩ বছরের ওই প্রৌঢ়ের ‘ইন্ট্রাথেকাল ব্যাকলোফেন ডিভাইস সিস্টেম ইমপ্ল্যান্টেশন’ অর্থাৎ আইটিবি থেরাপি করেন চিকিৎসক অনির্বাণদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই প্রৌঢ় এখন নড়াচড়ার সঙ্গে উঠে বসতেও পারছেন। সম্প্রতি সাংবাদিক সম্মেলনে হাসপাতালের তরফে বিষয়টি তুলে ধরা হয়। ওই চিকিৎসকের দাবি, আইটিবি থেরাপি পঙ্গুত্বের চিকিৎসায় অত্যন্ত কার্যকরী। তিনি জানান, মেরুদণ্ডের চারপাশে জলীয় অংশে যন্ত্র বসিয়ে সর্বাধিক ডোজে ব্যাকলোফেন নামে ওষুধ দেওয়া হয়। এর পরে মেরুদণ্ডের মূল অস্ত্রোপচার। দু’সপ্তাহেই রোগীর শরীর উল্লেখযোগ্য সাড়া দেয়। এই প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়ে শহরের অন্য স্নায়ু চিকিৎসকদের বক্তব্য, পূর্বাঞ্চলে এই প্রক্রিয়া খুব পরিচিত নয়। স্ট্রোক, মস্তিষ্কে বা মেরুদণ্ডে আঘাত, সেরিব্রাল পল্সিতে তা খুবই কাজ দিতে পারে।
|
এক রোগিণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে মৃতার আত্মীয়স্বজন বিক্ষোভ দেখান। হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এক চিকিৎসক এবং এক কর্মীকে মারধরও করা হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শেষ পর্যন্ত কোনও পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম হেনা দেব (৬৫)। তিনি কসবার বোসপুকুরের বাসিন্দা। হেনাদেবীর প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হওয়ায় রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ পরিবারের লোকেরা তাঁকে পিজি-তে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ট্রলিতে কার্ডিওলজি বিভাগে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। তার পরেই বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁর সঙ্গীরা। তখনই কর্তব্যরত চিকিৎসক অসীম সাহা এবং আবিদ হোসেন নামে হাসপাতালের এক কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
|
জল শোধনের নতুন যন্ত্র ‘অ্যাকোয়াগার্ড-জিনিয়াস’ আনল ইউরেকা ফোর্বস। এতে পছন্দমতো জলের স্বাদ বেছে নেওয়া যাবে। এবং সেটা পাওয়ার জন্য পানীয় জলে কোন কোন খনিজ রাখতে চান, সেই সিদ্ধান্তও নেওয়া যাবে। সংস্থার দাবি, ভারতে এ ধরনের জল শোধন ব্যবস্থা তারাই প্রথম আনল। |