পুরসভার অনুমোদন ছাড়াই শহরে রিকশা চলাচল করছে, পুরসভার ভাড়ার তালিকাও মানছেন না একাংশ রিকশা চালকেরা, এমনই অভিযোগ রায়গঞ্জের বাসিন্দাদের। পুর কর্তৃপক্ষ নিয়মিত নজরদারি না করায়, লাগোয়া বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকা থেকে শহরে বেআইনি রিকশা ঢুকে পড়ে, লাইসেন্সহীন সেই সব রিকশার চালকের কাছে পুরসভার ভাড়ার তালিকা না থাকার কারণই সমস্যার সূত্রপাত বলে অভিযোগ।
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রণজকুমার দাস বলেন, “বেশি ভাড়া দাবি করার অভিযোগ পেয়েছি। শিগগিরি পুরসভা বেআইনি রিকশার বিরুদ্ধে অভিযানে নামবে।” পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রায় তিন মাস আগে শহরে অভিযান চালিয়ে আড়াইশোটি বেআইনি রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
পুরসভা জানিয়েছে, রায়গঞ্জ শহরে পুরসভার অনুমোদিত রিকশার সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন রায়গঞ্জ পুর এলাকা লাগোয়া মাড়াইকুড়া, গৌরি, বীরঘই, বাহিন ও কমলাবাড়ি এলাকা থেকে বেআইনি ভাবে রিকশা ঢুকে পড়ছে বলে অভিযোগ। বেআইনি রিকশার সংখ্যাও অন্তত হাজার দুয়েক বলে পুর কর্তৃপক্ষের দাবি। রিকশার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই শহরের মোহনবাটি, সুপার মার্কেট, বিদ্রোহীমোড়, পুর বাসস্ট্যান্ড মোড়, শনিমন্দির, শিলিগুড়ি মোড়, এলাকা সহ বিভিন্ন এলাকায় যানজট লেগেই থাকছে বলে অভিযোগ। পুরসভার ভাড়ার তালিকা অনুযায়ী শহরে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা। এরপর প্রতি কিলোমিটার অনুযায়ী বাসিন্দাদের আরও ৫ থেকে ৮ টাকা করে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয়। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ভানার হার মানা হচ্ছেনা বলে অভিযোগ। যদিও রিকশা ও ভ্যানচালক ইউনিয়নের উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক নীলকমল সাহা বলেন, “বাসিন্দাদের স্বার্থে আমরা পুর কর্তৃপক্ষের কাছে বেআইনি রিকশার বিরুদ্ধে অভিযানের আর্জি জানিয়েছি।” |