মালদহের রতুয়ায় রাজ্য সড়কে গাড়ি আটকে ব্যবসায়ীর টাকা লুঠের ঘটনায় ৮ দুষ্কৃতী জড়িত বলে পুলিশ জেনেছে। টাকা লুঠ করে পালানোর সময় চালক সহ দুজন দুষ্কৃতী ধরা পড়লেও বাকিরা পালিয়ে যায়। পলাতকদের চিহ্নিত করতে ধৃতদের জেরা শুরু হয়েছে। পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের খোঁজ চলছে।”
গত বুধবার দুপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে গাড়ি আটকে ব্যাঙ্ক কর্মীর কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকা লুঠ করে দুষ্কৃতীরা। মালদহে কালিয়াচক এলাকার যদুপুরে ওই ঘটনার তিন দিন বাদে শনিবার সামসি-রতুয়া রাজ্য সড়কে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। কালিয়াচকের ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। ধৃতরা কালিয়াচকের বাসিন্দা হওয়ায় দুটি ঘটনা একই দলের কাজ কিনা সেটাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। দুষ্কৃতীদের ব্যবহৃত গাড়িটি কালিয়াচক-৩ ব্লকের জেলা পরিষদ কংগ্রেস সদস্যা চন্দনা সরকারের বলে জানা গিয়েছে। তিনি বলেন, “আমার গাড়ি বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া খাটে। সেটা চালকের কাছেই থাকে। সে যে এই ধরনের কাজে গাড়ি ভাড়া দেবে তা ভাবতে পারছি না। এটা সত্যিই খুব লজ্জার ঘটনা।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেল নাগাদ রতুয়া থেকে টাকা সংগ্রহ করে গাড়িতে সামসি ফিরছিলেন সিগারেট ডিস্ট্রিবিউশন সংস্থার কর্মী অসিত সরকার। ওই সময় রাস্তায় গাড়ি আটকে চালক ও তাঁকে মারধর করে দু’লক্ষ টাকা ছিনতাই করে দুষ্কৃতীরা। মোবাইল ফোনে গাড়ির নম্বর পরিচিতদের জানিয়ে দেন অসিতবাবু। এর পরে মালতিপুর এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িটি আটকানোর চেষ্টা করলে দুষ্কৃতীরা গুলি ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। জখম হন শ্যামল মন্ডল নামে এক ব্যক্তি। কিছুটা দূরে চাকা ফেটে গাড়ি আটকে যায়। মাঠে নেমে পালাতে থাকে ৮ দুষ্কৃতী ও চালক। অন্ধকারে ছয়জন গা ঢাকা দিলেও চালক সহ ৩ জন ধরা পড়ে যায়। |