নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
ওদের জন্য ব্রেইল হরফে লেখা বইয়ের গ্রন্থাগার, কম্পিউটার ল্যাবরেটরি, গান-বাজনা চর্চার ব্যবস্থা। দেখতে না পেলেও অনুভূতি তো রয়েছে। তাকে অবলম্বন করেই ওদের দেখতে, শিখতে সাহায্য করছে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। অপর্না চন্দা, হেমলতা মুখিয়া, রিতম নিরলার মতো দৃষ্টিহীন তরুণ, তরুণীরা মাটিগাড়ার প্রতিরামজোতে সংস্থার কেন্দ্রে থেকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সচেষ্ট হয়েছেন। যেমন অপর্ণার কথাই ধরা যাক। অসমের বাসিন্দা অপর্ণা মাটিগাড়ার একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। সিকিমের বাসিন্দা হেমলতা বাগডোগরা কলেজের ছাত্রী। সংস্থার কেন্দ্রে থেকেই তারা পড়াশোনা করছেন। সিকিমের বাসিন্দা রিতম সংস্থার কেন্দ্রে গানবাজনায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব ব্লাইন্ড (ন্যাব)। এ দিন উপস্থিত ছিলেন ন্যাবের সম্পাদক কাঞ্চন গাবা।
রবিবার পতিরামজোতে সংস্থার কেন্দ্রে একটি নতুন হল ঘরের উদ্বোধন হল। কেন্দ্রের জায়গায় একটি প্রতিবন্ধী বৃদ্ধবৃদ্ধাদের নিখরচায় থাকার জন্য প্রস্তাবিত একটি বৃদ্ধবাসের শিলান্যাসও করা হয়। হল ঘরটি নির্মাণে সাহায্য করেছেন সংস্থার অন্যতম ভাইস চেয়ারপার্সন সুলোচনা মানসি। বৃদ্ধাবাস নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছেন সংস্থার অন্যতম কর্মকর্তা সম্পত মল সঞ্চেতি। সুলোচনাদেবী জানান, আপাতত ২২ জন দৃষ্টিহীন তরুণ-তরুণী কেন্দ্রে থাকছে। চেনা পরিচিতের মাধ্যমেই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ৫০ জনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের শেখার জন্য কম্পিউটার ল্যাবরেটরি, গ্রন্থাগার সবেরই ব্যবস্থা রয়েছে। নিখরচায় দৃষ্টিহীন ওই তরুণ, তরুণীরা এখানে থাকেন। নতুন হলঘরটিতে গরিব পরিবারের বাসিন্দারা নিখরচায় বিয়ে বা অন্যান্য অনুষ্ঠান করতে পারবেন। |