গ্রামের চায়ের দোকানের টেলিভিশনে চলছিল আইপিএলের খেলা। মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ানের হাতিচিত্র পল্লিতে শনিবার রাতে শুরু হয়ে যায় দুই দলের পক্ষে বাজি ধরাও। খোকন মহালদার (৩৫) বাজি ধরেছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসয়ের পক্ষে।
উল্টো দিকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর পক্ষেও বাজি ধরেছিলেন জনা কুড়ি গ্রামবাসী। শেষ পর্যন্ত চেন্নাই হেরে যায়। তখনই খোকনের কাছ থেকে বাজি জেতার টাকা দাবি করা হয়। খোকন তা দিতে চাননি। তিনি বাড়ি চলে যান। গ্রামবাসীরা তাঁর বাড়ি পর্যন্ত ধাওয়া করলে খোকন একটি তরোয়াল নিয়ে তাঁদের তাড়া করেন। আহত হন একজন। তাঁকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। একে তো বাজিতে জয়ের টাকা মেলেনি, উল্টে মারধর। সেই রাগে রবিবার সকালে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী খোকনের বাড়িতে হামলা চালান। এবারও পাল্টা আক্রমণ করেন খোকন। তখন তাঁর তরোয়াল কেড়ে নিয়ে এ বার শুরু হয় গণপিটুনি। তাতেই মারা গিয়েছেন খোকন।
পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় কুখ্যাত সমাজবিরোধী হিসাবে পরিচিত খোকনের নামে একাধিক অভিযোগ ছিল। বেশ কয়েকবার জেলও খেটেছে সে। এ দিন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাঁচানো যায়নি। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “সমাজবিরোধী খোকন আইপিএল নিয়ে কয়েকজন গ্রামবাসীর সঙ্গে বাজি ধরেছিল। পরে টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে গণপ্রহার দেওয়া হয়। তাতেই সে মারা যায়। এই ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
পুলিশ সুপার জানান, কোথাও যাতে এই ভাবে বাজি ধরা না হয়, সেজন্য সতর্ক রয়েছে পুলিশ-প্রশাসনও। |