|
|
|
|
সিপিএম নেতা খুনে দুই তৃণমূল কর্মী ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
পুরনো একটি অপহরণ ও খুনের মামলার দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের সাঁকরাইল থানার ছত্রি এলাকা থেকে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত মনোরঞ্জন মাহাতো ও অজিত দাসের বাড়ি যথাক্রমে সাঁকরাইল থানার জামবেদিয়া ও ধানশোলা গ্রামে। রবিবার ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হলে ধৃতদের ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ হয়। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা মাওবাদী-জনগণের কমিটির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। ‘ফেরার’ থাকায় তাঁদের ধরা যাচ্ছিল না। ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে সিপিএমের স্থানীয় ছত্রি শাখা সম্পাদক দিলীপ মাহাতোকে অপহরণ করে খুনের ঘটনায় জড়িয়ে যায় তাঁদের নাম। মনোরঞ্জনবাবু ও অজিতবাবুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিটও দাখিল করে পুলিশ। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুই অভিযুক্তই শাসক দলে যোগ দেন। এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও এতদিন তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এ দিন আদালত চত্বরে মনোরঞ্জনবাবুর স্ত্রী মাধবী মাহাতো দাবি করেন, তাঁর স্বামী তৃণমূল কর্মী। অজিতবাবুও তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেন তাঁর বাবা গুণধর দাস। তৃণমূলের সাঁকরাইল ব্লক সভাপতি সোমনাথ মহাপাত্র বলেন, “ধৃতেরা আমাদের কর্মী। বাম আমলে সিপিএমের চক্রান্তে তাঁদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছিল।” সিপিএমের সাঁকরাইল জোনাল কমিটির সম্পাদক বাদল রানা বলেন, “ওই দু’জন আগে মাওবাদী-কমিটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ওরা আমাদের দলের বহু নেতা-কর্মী খুনের ঘটনার অভিযুক্ত। সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। সম্ভবত তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|