প্রায় রূপকথা হয়ে ওঠা সেই বেন্ডিং ফ্রি কিক। তাক লাগানো ইনসুইং কর্নার। চুলের স্টাইল আর ট্যাটুর কোলাজে ফ্যাশনের নতুন ব্যঞ্জনা-- শনিবার রাতে ফুটবলের মাঠ থেকে এ সবই পাকাপাকি মুছে গেল চোখের জলে ভেসে!
ফরাসি লিগে ব্রেস্টের বিরুদ্ধে জীবনের শেষ ম্যাচে ফুটবলের ‘প্রিন্স’ ডেভিড বেকহ্যাম মাঠেই কেঁদে ফেললেন। কাঁদালেন গ্যালারিকে, সতীর্থদেরও।
ম্যাচের একাশি মিনিটে কোচ কার্লো আন্সেলোত্তি যখন বেকহ্যামকে তুলে নিচ্ছেন তখন তো বটেই এবং ম্যাচের শেষে যখন কোচের সঙ্গে হাত নাড়তে নাড়তে গোটা মাঠ ঘুরছেন, উঠে দাঁড়িয়ে হাততালিতে, কান্নায়, শুভেচ্ছায়, শেষ বার বেকহ্যামকে অভিনন্দন জানালেন দর্শকেরা। |
বিদায়বেলায়
প্যারিসে বেকহ্যাম। |
ম্যাচে বেকহ্যামের হাতে ক্যাপ্টেনের আর্মব্যান্ড তুলে দিয়েছিল ক্লাব। ফরাসি লিগ চ্যাম্পিয়নের ট্রফিটাও নিলেন বেকহ্যামই। দু’হাতে সেটা মাথার উপর তুলে ধরার পর দলের বাকিরা মিলে ক্যাপ্টেনকে নিয়ে লোফালুফি করলেন একপ্রস্ত। ইব্রাহিমোভিচ থেকে থিয়াগো সিলভা প্রত্যেক সতীর্থ তাঁকে বুকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা জানালেন। ধন্যবাদ দিলেন আন্সেলোত্তিও। ইংলিশ আইকনের জন্য বিশেষ লেসার শো-এর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ক্লাবকে ধন্যবাদ জানিয়ে বেকহ্যাম বলেন, “শেষ ম্যাচে এত সম্মান জানানোর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। মাঠ ছেড়ে যাওয়াটা খুবই কষ্টের ছিল।” |
ফেয়ারওয়েল কোলাজ |
|
|
|
বেকহ্যাম পরিবার |
|
দর্শকাসনে হাজির ছিলেন বেকহ্যামের স্ত্রী ভিক্টোরিয়া, তিন ছেলে ব্রুকলিন, রোমিও, ক্রুজ আর মেয়ে হার্পার। শেষ ম্যাচেও বেকহ্যাম নিজের বিখ্যাত কর্নারের একটা নমুনা রেখে গেলেন। ব্রেস্টের বিরুদ্ধে ৩-১ জয়ে ইব্রাহিমোভিচের দুই গোলের পাশে বেকহ্যামের কর্নার থেকে তৃতীয় গোলটা করলেন মাতুইদি।
অন্য দিকে, আন্সেলোত্তি তাঁর রিয়াল মাদ্রিদ যাওয়া নিয়ে জল্পনাটা আরও একটু জিইয়ে রাখলেন। এই বলে যে, ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত আর কয়েক দিনের মধ্যেই জানাবেন। প্রাক্তন চেলসি কোচকে পরের মরসুমে সই করাতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। |