নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ইংল্যান্ডের দুই পেসারই যথেষ্ট। স্টুয়ার্ট ব্রড ও জেমস অ্যান্ডারসন দু’জনে মিলে টানা সাড়ে বাইশ ওভার বল করে গেলেন। জয়ের জন্য ২৩৯ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ড শেষ ৬৮ রানে। ব্রড একাই ফেরালেন সাত ব্যাটসম্যানকে। অ্যাসেজের ঠিক আগের টেস্ট সিরিজে এমনই রণমূর্তিতে ইংল্যান্ড। দুই টেস্টের সিরিজের প্রথমটিতে অ্যালিস্টার কুকের দল রীতিমতো গুঁড়িয়ে দিল নিউজিল্যান্ডকে। জিতল ১৭০ রানে। |
৭৬ বছর আগেই এমন হয়েছিল। ১৯৩৬-এ ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়াকে ৫৮ রানে শেষ করে দিতে ইংল্যান্ডের দুই পেস বোলার বিল ভোস ও গাবি অ্যালেনই ছিলেন যথেষ্ট। আর কোনও বোলারকে বল করতেই হয়নি। রবিবাসরীয় লর্ডসে সেই দিন ফিরে এল। ৭-৪৪-ই ব্রডের টেস্ট জীবনের সেরা বোলিং। প্রথম পাঁচ শিকারে তাঁর লাগে পাঁচ ওভার ও চার বল। অ্যান্ডারসন ২৩ রান দিয়ে দু’উইকেট নেন। আগের ইনিংসে নিউজিল্যান্ড পেসার টিম সাউদিও (৬-৫০) এমন রণমূর্তিই ধারণ করেছিলেন। তাঁর দাপটে মাত্র ৫৪ রানের মধ্যে ইংল্যান্ডের শেষ আট উইকেটই পড়ে যায়। রবিবার চতুর্থ দিন লাঞ্চে অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাকালামসহ নিউজিল্যান্ডের ছয় ব্যাটসম্যান ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। স্কোরবোর্ডে তখন মাত্র ২৯ রান। তখনই হার দেখতে পাচ্ছিল নিউজিল্যান্ড। চা বিরতির আগেই কিউয়ি ব্যাটিংয়ের লেজ মুড়িয়ে যায় আর ৩৯ রানের মধ্যে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ২৩২ (বেয়ারস্টো ৪১, রুট ৪০, সাউদি ৪-৫৮) ও ২১৩ (রুট ৭১, ট্রট ৫৬, সাউদি ৬-৫০)
নিউজিল্যান্ড ২০৭ (টেলর ৬৬, উইলিয়ামসন ৬০, অ্যান্ডারসন ৫-৪৭, ফিন ৪-৬৩) ও ৬৮ (ব্রড ৭-৪৪) |