একাই ম্যাচের ভাগ্য ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো ব্যাটসম্যান আর বোলারের অভাবেই এ বার আইপিএলে ডুবতে হল টিমকে। আইপিএল সিক্সে নিজেদের শেষ যুদ্ধে নামার আগে সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলে দিলেন পুণে ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারের বক্তব্য, “এমন কোনও ক্রিকেটার পাইনি যে নিজের হাতে ম্যাচ বের করে আনার ক্ষমতা রাখে। না এমন কোনও বোলার। এই অভাবটাই এ বার আমাদের ভুগিয়েছে। এই ফরম্যাটে ব্যাটসম্যানদের অনেক বেশি সুবিধা থাকে। কিন্তু আমাদের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের কাজটা করতে পারেনি।” দলে যুবরাজ, স্টিভ স্মিথ, উথাপ্পারা থাকা সত্ত্বেও ফিঞ্চ বলেন, “আইপিএলের প্রত্যেক দলে একজন অথবা দু’জন এমন ব্যাটসম্যান রয়েছে যারা ম্যাচের পর ম্যাচ রান করে গিয়েছে, বড় পার্টনারশিপ গড়েছে। শুরুটা ৭০, ৮০, ৯০ আবার কখনও ১০০-তেও নিয়ে গিয়েছে। আমাদের দলে সেটা কেউ পারেনি। নিজেকেও দোষ দিচ্ছি। ওপেনার হিসেবে আমার দায়িত্ব ছিল ক্রিজে যতক্ষণ সম্ভব টিকে থেকে বড় রান তোলা।” |
ফিঞ্চ: রবিবার অবশ্য দলকে জেতালেন। |
বোলারদেরও একহাত নিতে ছাড়ছেন না পুণে অধিনায়ক। “এমন কোনও বোলার আমাদের দলে উঠে আসেনি যে ধারাবাহিকভাবে উইকেট তুলে গিয়েছে। এই কারণে কখনও বড় রান করেও আমরা হেরেছি সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে আমাদের ব্যাটিং ধসে গিয়েছিল শেষ কয়েকটা ওভারে। আর কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে আমাদের বোলাররা শেষ ওভারে ১৬ রান আটকাতে পারল না। সবমিলিয়ে দলগত ব্যর্থতাই বলব।”
ফিঞ্চের হতাশায় হয়তো প্রলেপ পড়ল শেষ ম্যাচে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে ৩৮ রানে হারিয়ে। ফিঞ্চের ৩৪ বলে ৫২ রানের সাহায্যে ১৭২ রান তুলেছিল পুণে। জবাবে ৯ উইকেটে ১৩৪ রানেই থেমে যায় দিল্লির ইনিংস। সহবাগ ১০ বলে ১১। টানা ন’ম্যাচ হারার পর দু’ম্যাচে জিতে পয়েন্ট টেবলে শেষে থাকার লজ্জা এড়াল পুণে। কিন্তু গতবারের সেমিফাইনালিস্ট দিল্লি সেটা এড়াতে পারল না।
তবে, এ দিন জিতলেও বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ম্যাচটা হয়তো ভুলতে পারবেন না পুণে অধিনায়ক। বিশেষ করে ক্রিস গেইলের বিধ্বংসী অপরাজিত ১৭৫ রানের ব্যাটিং। বলছিলেন, “এ রকম দিনে অধিনায়ক হিসেবে কিছুই করার থাকে না। প্রত্যেকটা বল ক্রিস গেইলের ব্যাটের মাঝে লাগছিল। ফিল্ডিং আর বোলিংয়ে পরিবর্তন করে একটা চেষ্টা করছিলাম ক্রিসকে থামানোর। কিন্তু অনেক সময় সেটাও কাজ করে না।”
|