সোশ্যাল নেটওয়ার্কে নিজের দেশের দুই সাংবাদিককে তুমুল গালিগালাজ করে এখন পস্তাচ্ছেন অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার। যা অবস্থা, তাতে আসন্ন অ্যাসেজ সিরিজে তাঁর খেলা হবে কি না, তা নিয়েই অনিশ্চয়তার কালো মেঘ দেখা দিয়েছে। এমনিতেই অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট বোর্ডের অধীন ক্রিকেটারদের জন্য তৈরি আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে পড়ে গিয়েছেন তিনি। বোর্ড কর্তারা তাঁর বক্তব্যও শুনবেন। কিন্তু তা যদি সন্তোষজনক না হয়, ওয়ার্নার যদি কর্তাদের বোঝাতে না পারেন, কেন তাঁকে অ্যাসেজে দলের সঙ্গে রাখা উচিত, তা হলে যে তাঁর কপালে দুঃখ আছে, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
সাম্প্রতিক স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে আইপিএল-এর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন দুই অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক রবার্ট ক্র্যাডক ও ম্যালকম কন। ওয়ার্নারকে কোনওভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেননি। কিন্তু আইপিএলের বদনাম সহ্য করতে না পেরে বেজায় খেপে গিয়ে টুইটারে একের পর এক মন্তব্য করতে থাকেন ওয়ার্নার। এমনকী গালিগালাজ করতেও ছাড়েননি। টুইটারে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ ৩৯ হাজার। এত মানুষের দরবারে রয়েছেন যিনি, তাঁর কাছ থেকে এমন মন্তব্য মোটেই মেনে নেয়নি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। সরাসরি আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। শুরু হচ্ছে তদন্তও। সোমবার জানা যাবে, কবে ডাকা হবে ওয়ার্নারকে। ১০ জুলাই থেকে অ্যাসেজ শুরু। তার আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বুধবার ইংল্যান্ডগামী দলকে ‘ফেয়ারওয়েল’ জানানোর অনুষ্ঠান সিডনি বিমানবন্দরে। সেই অনুষ্ঠানে ওয়ার্নার থাকতে পারবেন কি না, এটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। |