আমবাগানের কাছেই ইটভাটা। আর সেই ভাটার ধোঁয়ায় পচে যাচ্ছে আম-এমনই অভিযোগ উঠল ডোমকলের ভগীরথপুর এলাকার একটি ইটভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে। এলাকার বেশ কয়েকটি আম বাগানের মালিকের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ইটভাটার ধোঁয়ায় ক্ষতি হচ্ছে আম চাষের। ফলন কমছে। পচে যাচ্ছে আমও। ভাটার মালিকদের জানিয়েও ফল হয়নি।
আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইটভাটা তৈরির ডোমকলের চেনা ছবি। মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় চাষের জমি থেকে লোকালয় এমনকী আম বাগানের ভেতরেই রমরমিয়ে চলছে ইটভাটা। ভগীরথপুর এলাকার বাসিন্দা আমবাগানের ম ালিক আফজল হোসেনের কথায়, “আমাদের চার ভাইয়ের প্রায় ১৫ বিঘার আম বাগান। বাগান লাগোয়া ইটভাটার চিমনিটাও নিচু। ফলে বাগান প্রায়ই ধোঁয়া এবং ছাইয়ে ভর্তি হয়ে যায়। এর ফলে আমের ফলন কমছে। গরম ধোঁয়ায় যে কটা আম হয় তাও পচে নষ্ট হয়ে যায়।” কেবল আফজলই নন, এলাকার সিদ্দিক শেখ, আবদুল হাইদেরও একই অভিযোগ। তাঁরা জানান, এর আগেও আমরা ভাটা মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও সমস্যা মেটেনি। |
যদিও ইটভাটার মালিক আব্দুর রহমানের বক্তব্য, “১৯৯৬ সাল থেকে আমাদের ভাটা চলছে। এত দিন কেউ কোনও অভিযোগ জানায়নি। ভাটা এলাকার জমি নিয়ে শরিকি বিবাদের জেরে ওই অভিযোগ উঠেছে।”
কিন্তু ইটভাটার ধোঁয়ায় কি আমের পচন ধরা সম্ভব? জেলার এক কৃষি আধিকারিক মিঠুন সাহা বলেন, “প্রথম যখন ভাটায় আগুন জ্বালানো হয়,তখন তার চারপাশে গরম বাতাস তৈরি হয়। সেই উত্তাপে কিছুটা হলেও আমের ক্ষতি হয়। আমের গায়ে কালো দাগ হয়ে যায়। একে বলা হয় ‘ব্ল্যাক টিপ’। এখান থেকেই আমের পচন ধরা শুরু। আমবাগান থেকে ৬০০ মিটারের মধ্যে কোনও ভাটা থাকলে আম পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকেই।”
ডোমকলের মহকুমাশাসক সুশান্ত অধিকারী বলেন, “কেবল ভগীরথপুর এলাকাই নয়, ডোমকল মহকুমার অন্যান্য এলাকা থেকেও এই রকম অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার তদন্তের জন্য ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” |