যুবক-যুবতীর ঝুলন্ত দেহ মিলল তারকেশ্বরের লজে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তারকেশ্বর |
সিলিং ফ্যান থেকে গলায় দড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় তারকেশ্বরের একটি লজের ঘর থেকে রবিবার যুগলের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতদের নাম মিল্টন রাহা (৩৩) এবং সুলতা বিশ্বাস (২৬)। মিল্টন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর গোবরাপুরের বাসিন্দা। সুলতার বাড়ি বনগাঁরই ভরতপুরে। দু’জনেই বিবাহিত। দু’জনেরই সন্তান রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার রাতে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারকেশ্বর স্টেশন সংলগ্ন ওই লজের তিন তলার একটি ঘরে ওঠেন। রবিবার সকালে তাঁদের কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে লজ কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। সকাল ১০টা নাগাদ তাঁরা থানায় খবর দেন। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেহ দু’টি নামিয়ে ময়না-তদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠায়। ওই ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বেশ কিছু দিন ধরেই মিল্টন এবং সুলতার মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ছিল। মাস তিনেক আগে তাঁরা গোয়ায় পালিয়ে যান। ইতিমধ্যে সুলতার স্বামী বনগাঁ থানায় মিল্টনের বিরুদ্ধে স্ত্রী-কে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। শুক্রবার মিল্টন ও সুলতা ফিরে আসেন। তবে সুলতা আর বনগাঁয় ফেরেননি। মিল্টনের ভাই বুবুন রাহার বাড়ি আরামবাগে। ওই দিন মিল্টন ও সুলতা সেখানে যান। কাছেই একটি ঘর ভাড়া নেন। শনিবার রাতে সেখান থেকে বেরিয়ে তারকেশ্বরের ওই লজে ওঠেন।
মিল্টনের ভাই বুবুন রাহা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর দাদার সঙ্গে সুলতার সম্পর্ক পরিবারের লোক মেনে নিতে পারেননি। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তিও শুরু হয়। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, মৃত যুবক-যুবতীর মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। কেন তাঁরা মৃত্যুকে বেছে নিলেন, তার কারণ খোঁজা হচ্ছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে তদন্ত শুরু হয়েছে। |