|
|
|
|
রাজ্যসভার দ্বিতীয় আসনে কংগ্রেস প্রার্থী সাঁওতাল নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
রাজ্যসভার দ্বিতীয় আসনে সাঁওতাল নেতা শান্তিয়াস কুজুরকে প্রার্থী করল কংগ্রেস। ওই আসনেই দলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে প্রার্থী করেছে এআইইউডিএফ।
কংগ্রেসের তরফে তিনটি মনোনয়নপত্র তোলা হয়েছিল। ওই দলের তরফে জানানো হয়, সংখ্যালঘু খ্রিস্টান শান্তিয়াস কুজুরকে প্রার্থী করা হয়েছে। দলীয় সূত্রের জানা গিয়েছে, ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন কুজুর। এর পরে বড়ো স্বায়ত্বশাসিত পরিষদ নির্বাচনে পানেরি থেকে জিতে পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য হন তিনি। সিলভিয়াস কন্ডোপানের মৃত্যুর পর থেকে খ্রিষ্টান সাংসদের দাবি জোরদার হয়েছিল। চা জনগোষ্ঠীও রাজ্যসভায় তাঁদের প্রতিনিধি চাইছিল।
রাজনৈতিক ‘অঙ্কে’ প্রথমে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হিতেশ্বর শইকিয়ার স্ত্রী হেমপ্রভা শইকিয়া সাংসদ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকলেও পরে তাঁর নাম বাতিল হয়।
এআইইউডিএফ প্রধান বদরুদ্দিন আজমল দলের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামকে রাজ্যসভা ভোটে প্রার্থী করার কথা জানান। বদরুদ্দিন বলেন, “আমরা চাই প্রথম আসনে প্রধানমন্ত্রীই জিতুন। কিন্তু, দ্বিতীয় আসনে জয় পেতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব।”
অসমে রাজ্যসভা ভোটে জিততে অন্তত ৪৩ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। কংগ্রেসের হাতে নিজেদের ৭৯ জন ও জোট শরিক বিপিএফ-এর ১২ জন মিলিয়ে মোট ৯১ জন বিধায়ক রয়েছে। প্রধান বিরোধী দল এআইইউডিএফ-এর রয়েছেন ১৮ জন বিধায়ক। নির্বাচনে জিততে অন্য বিরোধীদের একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এআইইউডিএফ। বিধানসভায় অগপর ৯ এবং বিজেপির ৫ জন বিধায়ক রয়েছে।
কামরূপ চেম্বার অফ কর্মার্সের সভাপতি মহাবীর জৈন, হরগোবিন্দ পাঠক, রেকিব আহামেদ ও বিমলচন্দ্র শইকিয়া মনোনয়নপত্র তোলেন। বিধানসভার সচিব গৌরাঙ্গপ্রসাদ দাস জানান, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তামিলনাড়ুর কে পদ্মরাজন। উল্লেখ্য, মেট্টুরের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ও টায়ার ব্যবসায়ী পদ্মরাজন ২০০৭ সালেও মনমোহন সিংহের বিরুদ্ধে ভোট-ময়দানে নেমেছিলেন। |
|
|
|
|
|