টুকরো খবর
মেয়ের সামনেই পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু মায়ের
বাপের বাড়ি যাওয়ার পথে মেয়ের সামনেই লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল মায়ের। শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়ার রথতলায় ঘোষপাড়া রোডে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম তন্দ্রা দত্ত (৩৬)। বাড়ি শ্যামবাজারে। রথতলায় তাঁর বাপের বাড়ি।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বছর বারোর মেয়ে তৃষাকে নিয়ে বাপেরবাড়ি যাচ্ছিলেন তন্দ্রাদেবী। প্রথমে তাঁরা ট্রেনে কাঁকিনাড়ায় আসেন। সেখান থেকে ভ্যানরিকশায় বাপেরবাড়ি যাচ্ছিলেন। তখন ঝড়বৃষ্টি হচ্ছিল। মেয়েকে নিয়ে তন্দ্রাদেবী ভ্যানের পিছন দিকে বসেছিলেন। আরও দু’জন যাত্রীও ভ্যানে ছিলেন। লরিটি পিছন থেকে ভ্যানটিকে ধাক্কা মারে। সকলেই ছিটকে পড়েন। এর পরে লরির চাকায় তন্দ্রাদেবী পিষ্ট হন। তৃষা বা অন্য যাত্রীদের অবশ্য কিছু হয়নি।স্থানীয় লোকজন তন্দ্রাদেবীকে উদ্ধার করে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনার পরে লরি নিয়ে চালক পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এলাকার লোকজন ধাওয়া করে তাঁকে ধরে ফেলে পুলিশের হাতে তুলে দেন। লরিটি আটক করেছে পুলিশ।

অর্থলগ্নি সংস্থার ম্যানেজার ধৃত
টাকা আত্মসাতের অভিযোগে অর্থলগ্নি সংস্থা ‘সানমার্গ’-এর স্বরূপনগরের চারঘাট শাখার ম্যানেজার গণপ্রিয় রায়কে শনিবার গ্রেফতার করল পুলিশ। এজেন্ট ও লগ্নিকারীরা তাঁর বিরুদ্ধে সাড়ে আট কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দায়ের করায় গণপ্রিয়বাবুকে লবণগোলায় তাঁর বাড়ি থেকেই ধরে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ দিন ধৃতকে বসিরহাট এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁকে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। অন্য দিকে, সাঁকরাইলে সিদ্ধার্থ কয়াল নামে এক বেআইনি লগ্নি সংস্থার মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধুলিয়ানের রতনপুরে ‘এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ নামে একটি লগ্নি সংস্থার শাখা অফিসও ‘সিল’ করে দেওয়া হয়েছে।

ছাত্রের মৃত্যু, শিক্ষিকার জামিন নাকচ
বাসন্তীর স্কুলছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত শিক্ষিকার জামিনের আবেদন শনিবার নাকচ করে দিল আলিপুর আদালত। চম্পারানি মণ্ডল নামে ওই শিক্ষিকাকে বিচারক ১ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ জানায়, ১৫ মে বাসন্তীর নির্দেশখালির শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র বাপি জোতদার স্কুলে গোলমাল করায় শিক্ষিকা চম্পারানি মণ্ডল দেওয়ালে তার মাথা ঠুকে দেন। বাপিকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়েছিল। ১৭ মে তার মৃত্যু হয়। তার পরেই বাপির অভিভাবক বাসন্তী থানায় শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ওই শিক্ষিকাকে শুক্রবার গ্রেফতার করে। অভিযুক্তের আইনজীবী মহম্মদ সাহাবুদ্দিন আদালতে জানান, পুলিশ অনিচ্ছাকৃত মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করলেও, ছাত্রটিকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য তাঁর মক্কেলের ছিল না। সরকারি আইনজীবী অমিত রায় আদালতে জানান, শক্ত কোনও জায়গায় কারও মাথা ঠুকে দিলে সে যে বড় আঘাত পেতে পারে, তা অভিযুক্তের অজানা নয়। সেই কারণে অভিযুক্তের জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.