কলকাতা বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের কাচ ভাঙা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রী অজিত সিংহকে চিঠি লিখলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। দমদমের সাংসদ ছাড়াও সৌগতবাবু কলকাতা বিমানবন্দরের পরামর্শদাতা কমিটির চেয়ারম্যানও। শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিতে টার্মিনালের কাচের যে দরপত্র (টেন্ডার) ডাকা হয়েছিল, তার পদ্ধতিগত প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সৌগতবাবু।
শনিবার এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সৌগতবাবু জানান, কাচ ভেঙে যে কোনও মুহূর্তে যাত্রীরা আহত হতে পারেন। অথচ, কেন কাচ ভাঙছে তার উত্তর দিতে পারছেন না বিমানবন্দর-কতৃর্পক্ষ। তিনি বলেন, “আমি এতদিন বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু ঘটনাটি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে বাধ্য হয়েই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি লিখলাম।”
নতুন টার্মিনালটি চালু হওয়ার পর থেকে প্রায়ই কাচ ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ দিনও দু’টি কাচ ভেঙে পড়ে এবং তার জেরে সিআইএসএফ-এর এক কনস্টেবল আহত হন। কিন্তু কয়েক’শ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি নতুন টার্মিনাল থেকে কেন কাচ ভেঙে পড়ছে, তার কোনও সদুত্তর এখনও পর্যন্ত দিতে পারেননি বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষ। শুধু কাচের মান পরীক্ষা করার জন্য কিছু নমুনা পাঠানো হয়েছিল অস্ট্রিয়া এবং আমেরিকায়। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে কাচগুলির উৎপাদনগত কোনও ত্রুটি নেই। বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষ এবং আমেরিকার কয়েকজন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে তৈরি একটি তদন্তকারী দল টার্মিনালটির পরিকাঠামোগত বিভিন্ন দিক পরীক্ষা করে দেখেছে। কিন্তু সেই রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত মেলেনি। বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ভি পি অগ্রবাল আগে জানিয়েছিলেন, মে মাসের মধ্যেই ওই রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। কিন্তু ক্রমাগত কাচ ভাঙার ঘটনায় সৌগতবাবুর এই চিঠি বেশ অস্বস্তিতে ফেলেছে বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষকে। এ দিন ভি পি অগ্রবাল বলেন, “আমরা অস্ট্রেলিয়ার এক বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ করেছি সমস্যাটি খতিয়ে দেখতে।”
সৌগতবাবু এ দিন জানান, ১ মে তিনি নতুন টার্মিনালে অ্যারোব্রিজ ব্যবহার নিয়েও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। তাঁর অভিযোগ, এয়ার ইন্ডিয়ার যে বিমানটি বিকেলে দিল্লি থেকে কলকাতায় আসে, সেটি অ্যারোব্রিজের সঙ্গে লাগানো হয়নি। কেন অ্যারোব্রিজ ব্যবহার করা হয়নি তারও জবাব তিনি পাননি বলেই দাবি সৌগতবাবুর। |