বৃহস্পতিবার গভীর রাতের ঝড়ে মালদহ জেলার পাঁচটি ব্লকের প্রায় দুশো গ্রামে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ শুরু হওয়া ঝড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার কালিয়াচক-১, মানিকচক, রতুয়া-১, ইংরেজবাজার, গাজল। রাতের ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জেলার আম বাগানে। প্রশাসনের প্রাথমিক হিসেব অনুযায়ী, হাজারেরও বেশি আমগাছ উপড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি মাটির বাড়ি। সেই সঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে বেশ কিছু এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১১ হাজার বাসিন্দা। জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত ব্লকের বিডিওদের কাছে থেকে ক্ষয় ক্ষতির চূড়ান্ত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। ওই সব এলাকায় ত্রাণ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেশি ক্ষতি হয়েছে আম বাগানের।” |
জেলা জুড়ে প্রায় ২ হাজার মেট্রিক টন আম ঝড়ে পড়ে গিয়েছে বলে উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রতুয়া-১ ব্লকের বাহারাল, কাহালা, মহানন্দটোলা, বিলাইমারি ও রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত ও রতুয়া-২ ব্লকের পরানপুর ও আড়াইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঝড়ের দাপটে আম, কাঁঠাল ও গাছ উপড়ে পড়ে। মাটির বাড়ির টিন ও টালির চালও উড়ে গিয়েছে বেশ কিছু এলাকায়। ঝড়ে ক্ষতি হয়েছে পানের বরোজ, ধানখেতেরও। কাহালা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস শুকুল বলেন, “অল্প কিছুক্ষণের ঝড়েই গোটা এলাকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র এই গ্রাম পঞ্চায়েতেই তিনশতাধিক আমগাছ ঝড়ে ভেঙে পড়েছে।” চাঁচলের মহকুমাশাসক পলাশ সেনগুপ্ত বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বিলি করতে জরুরি ভিত্তিতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন।” |
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান পালন দফতরের উপ অধিকর্তা প্রিয়রঞ্জন সানিগ্রাহি বলেন, “১৮৬০ হেক্টর আমের বাগানে ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমের আর্থিক ক্ষতির পরিমান প্রায় ২ কোটি টাকা।”
|
শুক্রবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |