মিনিট পনেরোর তীব্র ঝড়ে ব্যাক ক্ষয়ক্ষতি হল হুড়া ব্লকের সিজু গ্রামে। শুক্রবার বিকেলের ওই ঝড়ে গ্রামের একাধিক বাড়ির চাল উড়ে যায়। গ্রামে ঢোকার রাস্তায় প্রচুর গাছ পড়ে। উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। বাড়ির চালা উড়ে গিয়ে ছিটকে পড়ে পাঁচ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের হুড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
গ্রামের যুবক অনাদি সিং পাতর বলেন, “এ দিন বিকেলে হঠাৎ আকাশ কালো করে ঝড় শুরু হল। ঘরের মধ্যে থেকেই টের পাচ্ছিলাম বাইরে কী দাপট চলছে।” গ্রামবাসী টেপু সিং সর্দার বলেন, “ঝড় ওঠায় ঘরের ভিতরে আশ্রয় নিয়েছিলাম। একটু পরে দেখি মাথার উপর থেকে চালাটাই উড়ে গেল।” স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঝড় থামলে বাইরে বেরিয়ে দেখা যায়, গোটা গ্রাম যেন তছনছ হযে গিয়েছে। |
পাশের গ্রাম জোজোডির বাসিন্দা নিতাই সূপকার বলেন, “আমাদের গ্রামেও ঝড় হয়েছে। কিন্তু সিজু গ্রামে ঝড় যেন তাণ্ডব করেছে। ঝড় থামার পরে আমরাই সাহয্যে নেমে পড়ি।” খবর পেয়ে বিকেলেই হুড়ার বিডিও সুব্রত পালিত সিজু গ্রাম ঘুরে দেখেন। একাধিক পরিবার মাথার উপরে ছাদ হারানোয় তিনি এ দিন সন্ধ্যা থেকেই স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ত্রাণ শিবির খোলার নির্দেশ দেন। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় গ্রাম অন্ধকার। হ্যাজাক জ্বেলে কাজ শুরু করা হয়। বিডিও বলেন, “আংশিক ও পুরো মিলিয়ে মোট ৬৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাঁচ জন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা হবে।” এ দিন পুরুলিয়ার অন্যত্রও কালবৈশাখীর ঝড় হয়েছে। সঙ্গে ছিল বৃষ্টি।
বাঁকুড়ার কয়েকটি ব্লকেও এ দিনের ঝড়বৃষ্টিতে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙেছে ঘরবাড়ি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এ দিনের ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩৫ কিলোমিটার। ঝড়ের দাপটে ওন্দা ব্লকে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও কালীসেন এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্পের ছাউনি ভেঙে পড়ে। সন্ধ্যা পর্যন্ত অবশ্য জেলা প্রশাসনের কাছে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট এসে পৌছয়নি। জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, “ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট এখনও পাইনি, তবে জেলার তাপমাত্রা এক ঝটকায় অনেকটাই নেমেছে।” |