আইপিএলে মহাবিতর্ক বাঁধার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়ল ভারতীয় বোর্ড। চেন্নাইয়ে আগামী রবিবার তড়িঘড়ি জরুরি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকে ফেললেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসন।
শুক্রবার এক বিবৃতির মাধ্যমে বোর্ড জানিয়ে দেয়, রবিবারের বৈঠকে মূলত আইপিএলের স্পট-ফিক্সিং কাণ্ড নিয়েই আলোচনা হবে। ইতিমধ্যেই শ্রীসন্ত-সহ তিন ক্রিকেটারকে চলতি আইপিএল থেকে সাসপেন্ড করেছে বোর্ড। এ দিন বোর্ডের বৈঠকের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই ক্রিকেটমহলে জল্পনা চালু হয়ে যায়, রবিবারই কি তা হলে শ্রীসন্তদের নিয়ে বোর্ড চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছে? এ বার কি আজীবন নির্বাসনের মতো কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা হবে?
যে জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছে আইপিএল চেয়ারম্যান রাজীব শুক্ল নিজে। বলেছেন, “কয়েকটা প্রবল গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আমরা রবিবারের বৈঠকে নিতে যাচ্ছি। যথাসম্ভব কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে যারই যোগাযোগ খুঁজে পাওয়া যাক না কেন, বোর্ড তাকে ছাড়বে না।” ঘটনা হচ্ছে, বৈঠকের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে থেকেই বোর্ডমহলে শ্রীসন্তদের নিয়ে চরম প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়ে গিয়েছে। জানা গেল, অধিকাংশই এই তিন ক্রিকেটারের আজীবন নির্বাসনের পক্ষে। বলে দেওয়া হচ্ছে, আইপিএলের ভাবমূর্তির যা অবস্থা করেছেন শ্রীসন্তরা, সেখান থেকে পুরনো অবস্থায় ফিরতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। তাই শাস্তির ব্যাপারটাকে অহেতুক ঝুলিয়ে না রেখে বোর্ডের উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চরমতম ব্যবস্থা নেওয়া। যাতে বোর্ডের বিশ্বাসযোগ্যতাটা থাকে দেশের মানুষের কাছে। সিএবি থেকে বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়ার।
তবে সাততাড়াতাড়ি কোনও সিদ্ধান্ত শ্রীনিবাসন নেবেন কি না, তা সম্পূর্ণ নিশ্চিত নয়। শোনা যাচ্ছে, বোর্ড প্রেসিডেন্ট পুরো ব্যাপারটা দেখাশোনার জন্য তদন্ত কমিটি গড়তে পারেন। যারা কাজ করবে বোর্ডের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সঙ্গে। রবিবারের বৈঠকে বোর্ডের দুর্নীতিদমন এবং নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যদেরও থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজীব শুক্ল বলে দিচ্ছেন, “আমরা যদি ওদের প্রাথমিক একটা রিপোর্ট সে দিন পাই, তা হলে সেটা নিয়ে কথা হবে।” ঘটনাচক্রে গুজরাতের প্রাক্তন ক্রিকেটার অমিত সিংহকেও এ দিন নির্বাসনে পাঠিয়েছে বোর্ড। বর্তমানে অমিত এক জন বুকি। দিল্লি পুলিশ তাঁকে ধরেও ফেলেছে। উল্টো দিকে বোর্ড প্রেসিডেন্টের শহরে আবার ইতিমধ্যেই প্রবল ধড়পাকড় চালু করে দিয়েছে চেন্নাই পুলিশ। ছ’জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। |