দুষ্কৃতী-তাণ্ডব রুখতে চুঁচুড়া থানা এলাকার জন্য পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনী গড়েছে হুগলি জেলা পুলিশ। সাদা পোশাকের ওই বাহিনী সকাল থেকে রাত মোটরবাইকে টহল দেবে এলাকায়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দুষ্কৃতীদের গতিবিধির উপরে নজর রাখবে এবং তাদের গ্রেফতারও করবে।
পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “সম্প্রতি চুঁচুড়ার নানা এলাকায় দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে। তা বন্ধের জন্যই এই বিশেষ বাহিনী গঠন করা হয়েছে। গাড়িতে ‘প্রেস’ স্টিকার লাগিয়ে অসামাজিক কাজকর্মও চালাচ্ছে কিছু দুষ্কৃতী। তাদের উপরেও নজরদারি চালানো হবে।”
সম্প্রতি রবীন্দ্রনগর বাজার এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে এক রঙের মিস্ত্রিকে খুন করা হয়। তার পরে সন্ধ্যায় ওই একই এলাকায় বোমাবাজি হয়। গুলি চলে। দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে ওই এলাকার মহিলারা সন্ধ্যার পরে বাড়ির বাইরে বেরোতে পারেন না। ব্যবসায়ীরাও সব সময়ে আতঙ্কে থাকেন। মাস কয়েক আগে ব্যান্ডেলে এক ব্যবসায়ী খুন হন। চুরি-ছিনতাই লেগেই রয়েছে। বেড়ে চলা এই সব দুষ্কর্ম বন্ধ করতেই নয়া উদ্যোগ বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
চুঁচুড়া থানার অধীনস্থ এই বাহিনী মোট ১২ জনের। সাব-ইনস্পেক্টর অনুদ্যুতি মজুমদারের নেতৃত্বে ওই বাহিনীতে থাকছেন তিন জন সাব-ইনস্পেক্টর, একজন অতিরিক্ত সাব-ইনস্পেক্টর এবং সাত জন কনস্টেবল। তাঁদের সাহায্য করবেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) তথাগত বসু এবং ডিএসপি (ডি অ্যান্ড টি) দেবশ্রী স্যান্যাল।
গত কয়েক দিনে রবীন্দ্রনগর, হুগলি, ব্যান্ডেল এবং চুঁচুড়া এলাকা থেকে মোট দশ জনকে এই বাহিনী গ্রেফতার করে দুষ্কৃতীমূলক কাজকর্মে যুক্ত থাকার জন্যে। উদ্ধার হয়েছে ন’টি আগ্নেয়াস্ত্র, আটটি পাইপগান, একটি ছ’ঘরা রিভলভার এবং ২০-৩০টি গুলি। চুঁচুড়া সদর এলাকার মাঠগুলিতে বিশেষ নজরজারি চালানো হচ্ছে। কিছু দিন ধরে কুপার্স ক্যাম্প এলাকার কিছু দুষ্কৃতী হুগলিতে এসে তাণ্ডব চালাচ্ছিল। তাদের খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে ওই বাহিনী। |