প্রায় চল্লিশ ছুঁইছুঁই তাপমাত্রা। তার ভিতরই ঘোষপাড়ার নলকূপ থেকে জল নিতে এসেছেন পাঁচলার বিকিহাকোলা অঞ্চলের কাজিরেট পাড়ার বাসিন্দা হামিলা বেগম। তাঁর পাড়ার নলকূপ খারাপ। এই চিত্র কোনও ব্যতিক্রম নয়। বিকিহাকোলা অঞ্চলের রানিহাটি, শাঁখখালি, বিকিহাকোলা এই তিনটি মৌজাতেই কম বেশি খারাপ হয়ে গিয়েছে নলকূপ। জলসঙ্কটে ভুগছেন এলাকার মানুষ।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পঞ্চায়েত এলাকায় ১২ হাজার মানুষ বসবাস করেন। সব মিলিয়ে এলাকায় রয়েছে ২৫টি নলকূপ। কিন্তু তার মধ্যে বেশিরভাগ নলকূপই অচল। এক পাড়ার মানুষকে জল নিতে যেতে হচ্ছে পাশের পাড়ায়। মাঝে মধ্যেই কে আগে জল নেবে সেই নিয়ে হচ্ছে ঝগড়া।
সমস্যা হচ্ছে বাসন মাজা, স্নান করার সময়ও। গ্রামের বেশিরভাগ পুকুরই শুকিয়ে গিয়েছে। বাকি পুকুরগুলিকে যেটুকু জল রয়েছে তাতেই চলছে বাসন মাজা, কাপড় কাচা থেকে স্নান করা। কাজিরেট পাড়ার বাসিন্দা শাহনওয়াজ মোল্লা, খোকন মোল্লা বলেন, “পানীয় জলের সমস্যা প্রবল। এলাকার যে নলকূপগুলি চালু রয়েছে তার সামনে রীতিমত লাইন দিয়ে জল নিতে হচ্ছে।”
বিকিহাকোলা পঞ্চায়েতের প্রধান মিনতি রায় বলেন, “প্রায় রোজই একটা না একটা নলকূপ সারানো হচ্ছে। তারপরেও খারাপ হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নলকূপ সারাতে ৫০ হাজার টাকার বেশি খরচ হয়ে গিয়েছে।”
পাঁচলার যুগ্ম বিডিও ধ্রুবজ্যোতি প্রামাণিক বলেন, “এখন হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গিয়েছে। তাই কাজ করা যাচ্ছে না। তার ভিতরও কীভাবে কাজ করা যায় চিন্তাভাবনা চলছে।” পাঁচলার বিধায়ক গুলশন মল্লিক বলেন, “গরমে জলস্তর নেমে যাওয়ার কারণেই নলকূপগুলি অকেজো। আমরা বিষয়টি নিয়ে বিডিওকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।” |