|
|
|
|
আইএসসিতে পাশের হার কমে গেল ২% |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
পাশের হার কমে গেল আইএসসি-তে। গত বছরের থেকে দু’শতাংশেরও বেশি কমে গোটা দেশে এ বার আইএসসি-তে পাশের হার ৯৫.১৫ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গের চিত্রটা তার থেকে আলাদা নয়। এখানেও গত বছরের থেকে দু’শতাংশ কমে পাশের হার ৯৫.২২ শতাংশ। আইসিএসই-তে অবশ্য পাশের হারে তেমন ফারাক ঘটেনি। এই পরীক্ষায় এ বার পাশ করেছেন ৯৮.২০ শতাংশ, রাজ্যে ৯৭.৮২ শতাংশ।
শুক্রবার আইসিএসই এবং আইএসসি পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে। কাউন্সিল সূত্রের খবর, আইসিএসই-র মার্কশিট মিলবে ২১ মে, আইএসসি-র ২৩ মে। দু’টি পরীক্ষাতেই অন্যান্য বছরের মতো ছেলেদের থেকে ভাল ফল করেছেন মেয়েরা।
আইসিএসই-তে পাশ করার জন্য ইংরেজির সঙ্গে সব থেকে বেশি পাওয়া চারটি বিষয়ের নম্বর যোগ করে অন্তত ৩৫ শতাংশ পেতে হয়। আইএসসি-তে ইংরেজির সঙ্গে সব থেকে বেশি পাওয়া তিনটি বিষয়ের নম্বর যোগ করে অন্তত ৪০ শতাংশ পেতে হয়। আইএসসি কাউন্সিল বছর দুয়েক আগে থেকে বাধ্যতামূলক পরিবেশবিদ্যার পত্রটি আর আলাদা ভাবে রাখেনি। চাপ কমানোর জন্য সেই পত্রের পাঠ্য অন্যান্য বিষয়ের পাঠ্যক্রমে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এ বছর থেকে তাই ওই পত্রের পৃথক পরীক্ষা হয়নি। অথচ সেটিতে নম্বর ভালই উঠত। পাশের হার কমে যাওয়ার এটি অন্যতম প্রধান কারণ বলে মনে করছে কাউন্সিল।
কলকাতার সেন্ট্রাল মডার্ন স্কুলের অধ্যক্ষ তথা কাউন্সিলের সদস্য নবারুণ দে এ দিন বলেন, “আইসিএসই-তে ১০০ নম্বরের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন হয়। তা ছাড়া সেখানে পত্রের সংখ্যাও আইএসসি-র থেকে বেশি। সেই জন্যই মনে হয় পরিবেশবিদ্যার পৃথক পরীক্ষা না-হওয়ার প্রভাব আইসিএসই-র তুলনায় আইএসসি-র উপরে বেশি পড়েছে।”
বিভিন্ন স্কুলের অধ্যক্ষ-অধ্যক্ষারা জানিয়েছেন, এ বার আইসিএসই-আইএসসি দু’টি পরীক্ষাতেই বাংলার ফল অন্যান্য বারের থেকে খারাপ হয়েছে। এ ছাড়া দশম শ্রেণির বিজ্ঞান, দ্বাদশের ভূগোলের নম্বরেও কিছুটা পিছিয়ে পড়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। যদিও দশমের ইতিহাস, ভূগোল, অঙ্ক এবং দ্বাদশের অঙ্ক, কম্পিউটার সায়েন্স বা বিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয়ে পরীক্ষার্থীরা ভালই নম্বর পেয়েছেন। |
|
|
|
|
|