স্কুলছুট দুই ছাত্রীকে ফের স্কুলে ফেরালেন প্রশাসন ও নাদনঘাট রামপুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কয়েক জন শিক্ষক।
পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বগপুর পঞ্চায়েতে রাজীবপুর গ্রামে স্কুলছুটের হার কমাতে প্রচার চালাচ্ছে নাদনঘাটের ওই স্কুলটিতে তৈরি ‘স্কুলছুট প্রতিরোধক কমিটি’। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রামের আদিবাসী পাড়ার বেলমনি হাঁসদা ও অর্চনা হাঁসদা বাড়িতে অভাবের কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। দু’বছর আগে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে বেলমনি স্কুলছুট হয়। বছরখানেক আগে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময়ে তার দিদি অর্চনা স্কুল ছাড়ে। তারা এখন খেতমজুরের কাজ করে। |
রাজীবপুর স্কুলের পার্শ্বশিক্ষিকা সেমিমা খাতুন সম্প্রতি বিষয়টি জানতে পেরে তাঁর স্বামী, রামপুরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ইয়ারবক্সকে জানান। এর পরেই স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক অরূপ চৌধুরী মহকুমা স্কুল পরিদর্শক বীথিকা ভট্টাচার্যকে বিষয়টি জানান।
দুই কিশোরীকে স্কুলে ফেরানোর উদ্যোগ শুরু হয় এর পর থেকেই। শুক্রবার বেলমনিকে রাজীবপুর শিক্ষার্থী বিদ্যা নিকেতনে এবং অর্চনাকে নাদনঘাট অন্নপূর্ণা বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয়। দুই স্কুলই ছাত্রীদের পড়াশোনার ব্যয়ভার নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
স্কুলে ফিরতে পেরে খুশি ওই দুই কিশোরীও। মহকুমা স্কুল পরিদর্শক বীথিকাদেবী বলেন, “এলাকার অন্য স্কুলছুটরাও ফিরে আসবে বলে আমাদের আশা। প্রশাসন তাদের পাশে থাকবে।” |