তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগানো ও এক কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার লবণাপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। জখম তৃণমূল কর্মীর নাম শেখ মণিরুল। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। সিপিএম অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শেখ মনিরুল পুলিশকে জানিয়েছেন, এ দিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ হঠাৎ দশ-বারো জনের একটি দুষ্কৃতী দল কার্যালয়ে বসে থাকা দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপরে রড, লাঠি নিয়ে চড়াও হয়। বাকিরা পালাতে পারলেও শেখ মনিরুলকে মাটিতে ফেলে রড ও লাঠি দিয়ে পেটায় তারা। তাঁর মাথা ও হাতে চোট লেগেছে। মণিরুলকে বাঁচাতে গিয়ে সেলিম মল্লিক নামে একজনের হাতেও চোট লাগে। চিৎকার চেঁচামিচি শুনে ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন। বেগতিক দেখে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। পালানোর সময়ে তারা কার্যালয়ে আগুল ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। কার্যালয়ের টিভি ও ক্যারাম বোর্ডটিও তারা নিয়ে পালিয়েছে বলে অভিযোগ। |
শুক্রবার সকালে তৃণমূলের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ওই দুষ্কৃতীরা সিপিএমের আশ্রিত। এক দুষ্কৃতী বন্দুক থেকে গুলি ছোড়েও বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের আগে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে আমাদের দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলা করছে সিপিএম। মানুষ নির্বাচনেই এর জবাব দেবেন।” দুর্গাপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিটু নেতা বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী পাল্টা বলেন, “জেলার সর্বত্রই এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। পুলিশ যদি প্রকৃত তদন্ত করে তাহলেই জানা যাবে কারা এই ধরণের হামলার সঙ্গে জড়িত।” |