বিদ্যুৎ সঙ্কট তীব্র হচ্ছে রানিগঞ্জের জেমারি পঞ্চায়েতের ছাতাপাথর, ভগনপাড়া, কারনালী, তেঁতুলডাঙা এবং গোয়ালডাঙার আদিবাসী মহল্লাগুলিতে। ওই এলাকায় ইসিএলের বিদ্যুতে প্রতি বাড়িতে আলো জ্বলে। কিন্তু তাতে সমস্যার সমাধান হয় না। রাজ্য সরকার প্রায় দশ বছর আগে ওই পাঁচটি এলাকায় আরইডিসি প্রকল্পে ৫৫টি বিদ্যুতের খুঁটি লাগিয়েছিল। কিন্তু তার লাগায়নি। এ ছাড়া ওই একই সময়ে সংলগ্ন রূপাধাওড়ায় ১২টি খুঁটি পুঁতে বিদ্যুতের তার লাগানো হয়েছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। ছাতাপাথরের সুরুচাঁদ মুর্মু, ভগনপাড়ার গোপাল কিস্কু, কারনালীর তুলসী ভুঁইয়া, তেঁতুলডাঙার হরিদাস মাড্ডি এবং রূপাধাওড়ার রবিয়া মাঝিরা জানান, ইসিএল সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পে প্রথম থেকেই খনি সংলগ্ন এলাকাগুলিতে বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ দিয়ে আসছে। তাতে সমস্যা মিটছে না। উপভোক্তার সংখ্যা বিদ্যুৎ সরবরাহের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় লো ভোল্টেজ প্রায় নিত্যদিনের সঙ্গী। ফলে রাতে পড়ুয়াদের হ্যারিকেন ছাড়া উপায় নেই। দশ বছর আগে ৫৫টি বিদ্যুতের খুঁটি এবং বারোটি খুঁটির তার লাগিয়ে দিয়ে গেলেও তাতে রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ মেলেনি। অথচ উপভোক্তাদের ফর্ম দেওয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে গ্রাম প্রধানকে বারবার জানিয়েও কোনও প্রতিকার মেলেনি বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। গ্রাম প্রধান নিমাই ঘোষ জানান, ২০০২-০৩ আর্থিক বর্ষে ওই ছ’টি এলাকায় আরইডিসি প্রকল্পে ৬৭টি বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা হয়েছিল। ১২টিতে তার লাগানো হয়েছিল। এরপর উপভোক্তাদের আবেদনপত্র দেওয়া হলেও তা আর জমা নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, “সংশ্লিষ্ট দফতরের জানতে গেলে তাঁরা বলেছিলেন, আরইডিসি প্রকল্প শেষ হয়ে গিয়েছে। নতুন করে রাজীব গাঁধী গ্রামীণ বিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় ওই এলাকাগুলিতে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে। তার জন্য সমীক্ষাও করা হয়েছিল। তারপর আর কিছু হয়নি। আমি চার বছরে বারবার জানতে চেয়েও কোনও সদুত্তর পাইনি।” রুরাল ইলেকট্রিফিকেশন প্রজেক্টের বর্ধমানের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপকুমার মণ্ডল বলেন, “যতদূর মনে আছে উপভোক্তা না মেলায় ওই প্রকল্পের উদ্দেশ্য সফল হয়নি।” |